২০২৩ সালে পদ্মশ্রী সম্মানের জন্য মনোনীত হলেন চার বাঙালি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই বছর মনোনীত করা হল সূচিশিল্পী প্রীতিকণা গোস্বামী, প্রবীণ লোকসঙ্গীত শিল্পী মঙ্গলকান্তি রায়, ভাষা গবেষক ধনীরাম টোটো ও চিকিৎসক রতনচন্দ্র করকে।
এঁদের মধ্যে রতনচন্দ্র কর আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দা। সেখানের আদিবাসী জারোয়াদের নিয়েই তার দীর্ঘ কর্মজীবন। চিকিৎসক রতনচন্দ্র করের বয়স এখন ৬৬ বছর। সুদীর্ঘ কর্মজীবনের অর্ধেকেরও বেশি সময় তাঁর কেটেছে আন্দামানে। সেখানেই চিকিৎসা করেছেন স্থানীয় আদিবাসী জারোয়া, ওঙ্গি, গ্রেট আন্দামানিজদের মতো একাধিক জনজাতির মানুষদের।
সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিলেও সে কাজে ছেদ পড়েনি কখনও। সেখানে থাকাকালীন ১৯৯৯ সালে হামের প্রাদুর্ভাব হয়। গুটি রোগ ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল জারোয়া জনজাতির মধ্যে। তাদের মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরিয়ে আনেন। নিরলস চেষ্টায় মারাত্মক রোগের হাত থেকে রেহাই পায় বিশাল জনগোষ্ঠী। একটা সময় বিলুপ্ত হয়ে যেতে থাকা জারোয়া জনজাতির জনসংখ্যা এখন ৭৬ থেকে বেড়ে ২৭০ হয়েছে। এর পিছনে রতনচন্দ্র করের অবদান মূল্যবান ।
এই বছর সেই নিরলস প্রচেষ্টার কথা স্মরণ করেই পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত করা হচ্ছে চিকিৎসক রতন চন্দ্র করকে। প্রথম জীবনে সরকারি চিকিৎসক থাকলেও আন্দামানের প্রতি টান তার হৃদয়ে কখনওই মলিন হয়নি। উত্তর সেন্টিনেল থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরে একটি দ্বীপের বাসিন্দা হল জারোয়া। তাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেই বিরামহীনভাবে কাজ করে চলেছেন রতনচন্দ্র।