অক্ষয় তৃতীয়ার দিন রথ তৈরি শুরু হয় দেশের নানা প্রান্তে। কিন্তু হুগলির এই অঞ্চলের রীতি কিছুটা ভিন্ন।
1/5সাধারণত, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকেই শুরু হয় রথ নির্মাণ। তবে ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়ার কাহিনি কিছুটা অন্যরকম। এখানকার রথযাত্রা দুশো বছরেরও বেশি পুরনো। অক্ষয় তৃতীয়ার দিনেই এখানে রথ টানার রীতি। রথযাত্রার সঙ্গে জড়়িত থাকেন ওই অঞ্চলের ৪০-৫০টি ব্রাহ্মণ পরিবার। পুজোর প্রস্তুতি থেকে বিগ্রহের সজ্জা সবকিছুর দায়িত্বেই থাকেন তাঁরা। (সব ছবি - স্বাতী দাস বন্দ্যোপাধ্যায়)
2/5তেলেনিপাড়ার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা পার্থ সরকার জানাচ্ছেন, ‘এই রথযাত্রা শুধু কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরে হয় আর হয় আমাদের ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়া অঞ্চলে। এই রথ সকাল আটটায় মন্দির থেকে বের হয়। বেরিয়ে কিছুটা আসার পর এক স্থানে দাঁড়িয়ে পুজো সারা হয়। তার পর আস্তে আস্তে এগোতে থাকে রথ।’
3/5পার্থবাবুর কথায়, প্রত্যেক বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের পুজো নিতে নিতে এগোয় মা অন্নপূর্ণার রথ। তাই খুব ধীরে ধীরে এগোয় রথ। ভদ্রেশ্বরে গঙ্গার ধারেই রয়েছে একটি মিল। সেই মিলের পাশে বহু আগে এক রাজবাড়ি ছিল। রথযাত্রা সেখানে গিয়ে সমাপ্ত হত। বর্তমানে সেই রাজবাড়ি অবশ্য নেই।
4/5‘তাই পাশেই একটি মণ্ডপ নির্মাণ করে সেখানে রথযাত্রা সমাপ্ত হয়। ওই মণ্ডপে বর্তমানে অন্নপূর্ণা পুজো করা হয়, ভোগের ব্যবস্থা থাকে। এর পর বিকেলে পালকি করে বিগ্রহ ফিরে আসে।
5/5বিগ্রহ ফিরে আসার উপলক্ষে এখানে এক সন্ধের জন্য একটি মেলা বসে। সারা এলাকার মানুষের সমাগম হয় সেখানে। আট থেকে আশি প্রত্যেকের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে তেলেনিপাড়া। প্রতি বছরই এমনটা রেওয়াজ মেনে আসছে ভদ্রেশ্বরের এই এলাকা।