গ্রীষ্মকাল মানেই আম। আমবারুণীর পর টক ডাল থেকে শুরু করে কাঁচা আমের চাটনি দিয়ে বাঙালির হেঁসেলে ঢোকে কাঁচা আম। স্বাদে টক এই কাঁচা আম অনেক ঔষধি গুণে ভরপুর। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা আম ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, জিঙ্ক, ফাইবার, কপার, পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো বহু পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। গ্রীষ্মকালে দেশের নানা প্রান্তে প্রচুর পরিমাণে মেলে এই কাঁচা আম।
কাঁচা আম পেটের রোগের প্রতিষেধক: কাঁচা আমে থাকে ভিটামিন সি। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। যার কারণে এটি আমাদের শরীরকে অনেক ধরনের সংক্রামক রোগ থেকে নানা ভাবে রক্ষা করে। শুধু তাই নয়, কাঁচা আম পেটের স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী। এটি পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতাকে উন্নত করে। অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। পাশাপাশি হজম শক্তিও বৃদ্ধি করে। ফলে সবটা মিলিয়ে এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: ডায়াবিটিসে ভুগছেন? সুস্থ থাকার জন্য এড়িয়ে চলুন এই খাবারগুলি
কাঁচা আম চোখের জন্য উপকারী: কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়। চোখ সুস্থ রাখে।
ডায়াবেটিসেও কাঁচা আম দারুণ উপকারী: কাঁচা আমে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক উপাদান রয়েছে। যার কারণে এটি রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
কাঁচা আম হাড় মজবুত করে: কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। যা হাড়কে সুস্থ ও মজবুত করার জন্য অপরিহার্য। এটি হাড় সংক্রান্ত নানা সমস্যার ঝুঁকি কমায়।
আরও পড়ুন: প্রাচীন গ্রিসেও নাকি পালিত হত মাতৃদিবস, সেই ঘটনা জানলে চমকে যাবেন
কাঁচা আম হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষা করে: গ্রীষ্মকালে সানস্ট্রোক ও হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষা করে কাঁচা আম। কাঁচা আমের সরবত হিট স্ট্রোকের হাত থেকে রক্ষা করতে খুবই কার্যকরী। কাঁচা আমের চাটনিও খেতে পারেন। কাঁচা আম শরীরকে ঠান্ডা ও হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
কাঁচা আম কীভাবে খেতে পারেন?
কাঁচা আমের সরবত তৈরি করে খেতে পারেন। আবার চাটনি বা টক ডাল বানিয়েও খেতে পারেন। ছোট মাছ দিয়েও কাঁচা আমের দারুণ সুস্বাদু টক বানানো যায়। তাছাড়া আচার হিসেবেও রাখতে পারেন পাতে। এছাড়াও কাঁচা আমকে শুকনো আমের গুঁড়া তৈরি করে বা জ্যাম বানিয়ে কিংবা কাঁচা আমের পাপড় তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। তাছাড়াও বড় মাছের ঝালে বা তরকারি হিসেবে রান্নাতেও কাঁচা আম ব্যবহার করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন অত্যাধিক কোনও কিছুই শরীরে জন্য ভাল না, তাই অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মেনে কাঁচা আম খান। কারণ অত্যধিক কাঁচা আম খেলে পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।