মধুর অনেক উপকারিতা আছে এই কথা সকলকেই জানেন। কিন্তু মধুকে অনেক ঘরোয়া টোটকায় ব্যবহার করা যায় সেটা জানেন কি? হ্যাঁ, মধু ব্যবহার করে নানা সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। এখন বিজ্ঞানও এই কথা নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর প্রমাণ করে দিয়েছে।
মধু শুধু খাওয়া যেতে পারে বা কোনও খাবারে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু খাওয়ার আগে দেখে নেওয়া উচিত সেটা খাঁটি মধু কিনা। যদি খাঁটি মধু না হয় তাহলে কিন্তু সেটা আপনার উপকার করার বদলে অপকারই করবে। তাই সবসময় যাচাই করেই মধু কিনবেন।
দেখে নেওয়া যাক মধু খেলে কী কী পুষ্টি পাওয়া যায়? বা মধুর পৌষ্টিক গুণ কী কী?
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের মতে মধুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আছে যেমন অ্যাসকর্বিক অ্যাসিড, নিয়াসিন, ইত্যাদি। আছে প্রচুর মিনারেল যেমন ক্যালসিয়াম, লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ইত্যাদি। এছাড়া এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বায়োঅ্যাক্টিভ গাছের জৈব আছে।
কেন মধু চিনির থেকে ভালো জানেন?
চিনির মতো মধু খেলেও রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়ে কিন্তু যেহেতু এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে তাই এটা মেটাবলিক সিনড্রোম থেকে বাঁচায় এবং ডায়াবেটিক রোগীদের স্বাস্থ্য ভালো রাখে চিনির তুলনায়। এছাড়াও পাবমেড সেন্ট্রাল নামক এক সংস্থা পরীক্ষা করে দেখেছে এটা ব্লাড রেগুলেশন মেনটেন করে। তবে ডায়াবেটিক রোগীদের মেপে মধু খাওয়া উচিত।
রোজকার খাদ্য তালিকায় মূলত বর্ষাকালে কেন মধু রাখবেন দেখে নিন
প্রথমত এটা এনার্জি বুস্টার হিসেবে কাজ করে। মধুতে যে গ্লুকোজ আছে সেটা আমাদের শরীরের এনার্জি লেভেল বাড়াতে সাহায্য করে।
দ্বিতীয়ত, কাটাছেঁড়া, ক্ষত সারাতে সাহায্য করে মধু। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড মেডিসিনের মতে সার্জারির পর মধু খাওয়া উচিত নিয়মিত তাতে ঘা তাড়াতাড়ি শুকোয়।
তৃতীয়ত, মধু ভীষণ রকম ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে মেপে মধু খাওয়া উচিত, বেশি মাত্রায় মধু খেলে ওজন কমার বদলে বাড়তে পারে।
চতুর্থত, ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে মধু। যেহেতু এতে অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, সেহেতু এটা আমাদের ত্বককে ভালো রাখে।