রাত পোহালেই দোল। তবে দোল মানে শুধুই রঙের উৎসব নয়। অনেকেই এই দিন বাড়িতে পুজোও করে থাকেন। আর পুজোর প্রসাদে দোলের বিশেষ মিষ্টি ফুট কড়াই, মঠের পাশাপাশি বাংলার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি কদমাও থাকে। যে কোনও পুজো মানেই কদমা। অনেকের মতে কদমা ছাড়া বাঙালির যে কোনও পুজো অসম্পূর্ণ। তবে শুধু পুজো নয়, অনেকে কদমা খেতেও পছন্দ করেন। চিনির তৈরি এই বিশেষ মিষ্টি অনেকেরই প্রিয়। বিশেষ করে শিশুদের। তারা এই ধরনের মিষ্টি খেতে বেশ পছন্দ করে।
আরও পড়ুন: তুরস্ক থেকে ভারতীয়দের হেঁশেলে কীভাবে এল হোলির 'গুজিয়া'? দেখে নিন
প্রতিবারই তো দোকান থেকে কদমা কিনে এনে খান। কিন্তু জানেন কি বাড়িতেও কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখলে সহজে কদমা বানিয়ে নিতে পারবেন। কদমা বানাতে খুব বেশি উপকরণেও প্রয়োজন নেই। আপনার রান্না ঘরে থাকা সহজলভ্য কিছু উপকরণ দিয়েই এই মিষ্টি বানিয়ে নিতে পারবেন। এই দোলে নিজের হাতের বানানো কদমা খাইয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিন। দেখে নিন সহজ রেসিপি।
আরও পড়ুন: কাজলি মাছ এভাবে রান্না করে দেখুন! উঠে যাবে একথালা ভাত, রইল সহজ রেসিপি
কদমা তৈরি করতে যা যা উপকরণ লাগবে
(২ কেজি চিনির মাপে এখানে রেসিপি দেওয়া হল, আপনারা আপনাদের প্রয়োজন অনুসারে এই অনুপাত বজায় রেখে বাড়িতে কদমা বানাতে পারেন)
চিনি ২ কেজি
জল ২ কাপ
কদমার ছাঁচ বা কদমা মেকার
আইসিং সুগার আধ কাপ
কদমা তৈরি প্রণালী
চিনি ও জল আঁচের উপর রেখে ফুটতে দিন। মিশ্রণটি ফুটে উঠলে সেখান থেকে ১ চামচ শিরা নিয়ে পাশে রাখা ঠান্ডা জলে দিয়ে দেখতে হবে। যদি দেখেন চিনি শিরা জমাট বাঁধছে তা হলে বুঝবেন কদমার জন্য যে শিরার প্রয়োজন তা হয়ে গিয়েছে। এবার একটা ছড়ানো পাত্রে আইসিং সুগার ছড়িয়ে শিরা ঢেলে অল্প গরম থাকা অবস্থায়তেই রোল করে নিতে হবে। তারপর খুঁটিতে ঝুলিয়ে টানতে হবে, আর ভাঁজ করতে হবে। এই ভাবে দেখতে পাবেন একটা সময় সেটা শক্ত ও সাদা হয়ে যাচ্ছে। এভাবে অনেকবার করলে দেখবেন ভেতরটাও ফাঁপা হবে তখন একটা জায়গায় আইসিং সুগার ছড়িয়ে তার উপর ওই মন্ডটা গড়িয়ে নিতে হবে। এরপর কদমা বানানোর ছাঁচ বা মেকারে চাপ দিয়ে কেটে কদমার আকারে কেটে নিতে হবে। তারপর হাওয়ায় রেখে শুকিয়ে নিলেই তৈরি কদমা।