সম্প্রতি অনন্ত আম্বানির বিবাহ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে লাইনলাইট ছিনিয়ে নিয়েছিলেন কিম কার্দাশিয়ান। একদিকে যেমন তাঁর লুক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল তেমন অন্যদিকে অটো করে তাঁর মুম্বাই ভ্রমণের কথাও বেশ ছড়িয়েছিল লোকমুখে। কিন্তু যে মডেল তথা অভিনেত্রীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে যান হাজার হাজার ভক্ত, সেই কিম কার্দাশিয়ান আক্রান্ত একটি জিনগত ত্বকের রোগে।
৪৩ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর সারা পা জুড়ে মাঝেমধ্যেই দেখা যায়, লাল লাল চাকা চাকা দাগ। অভিনেত্রী নিজেও এই রোগের কথা ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নিয়েছিলেন সকলের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'জানি না কেন এরকম হয়? খুব যন্ত্রণা করে। আমি ডায়েটে বদল এনেও কিছু পরিবর্তন করতে পারছি না।'
(আরও পড়ুন: উইকেন্ডে একটু মজা তো করতেই হবে! ৩ মিনিট মনখুলে হাসুন, পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস)
তিনি আরও বলেন, 'গত ২৫ বছর ধরে এই রোগে আক্রান্ত আমি। আমার মা ক্রিস জেনারেরও এই রোগ ছিল। আমি মায়ের থেকেই এই রোগ পেয়েছি। আবার আমার থেকে আমার ছেলে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। মূলত জিনের মাধ্যমে ছড়ায় এই রোগ।
কী এই সোরিয়াসিস সংক্রমণ?
জিনগত কারণ ছাড়াও মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তা যদি থাকে তাহলে এই রোগ আরও বেশি ছড়িয়ে যায় শরীরে। এই রোগে শরীরের বিভিন্ন অংশে গোল গোল এবং চাকার মতো দাগ তৈরি হয়। ক্ষতস্থান থেকে মাছের আঁশের মতো খোসা ওঠে। ক্ষতস্থান খসখসে হয়ে যায় এবং চুলকানি হয়। কখনও লালচে, কখনও কালচে ছোপ পড়ে যায় ক্ষতস্থানে। আবার কখনও কখনো ফুলেও যায়। অসুখ যদি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে যায় সেক্ষেত্রে চামড়া ফেটে পুঁজ বা রক্ত বেরোয়। হাঁটু, কনুই, মাথা, হাতের তালু এবং পায়ের তালুতে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে বেশি।
(আরও পড়ুন: ৪০ কুকুরকে ধর্ষণ করে হত্যা! প্যারাফিলিয়া রোগের কারণে অমানুষ হয়ে গিয়েছিলেন এই প্রাণিবিদ, কী এই রোগ)
সাধারণত এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের ১০ থেকে ৩৫ শতাংশ মানুষের সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে গাঁটে গাঁটে ব্যথা হয় এবং জয়েন্ট ফুলে যায়। কিমও এই আর্থাইটিসে আক্রান্ত। প্রায়শই হাতে ফোন তোলার মতো জোর পর্যন্ত পান না তিনি। তবে এটি ছোঁয়াচে রোগ নয়, মূলত জিন ঘটিত রোগ। তাই রোগীর থেকে দূরত্ব বজায় রাখার কোনও প্রয়োজন নেই।