সম্পর্ক কখনওই এক তরফা হয় না। সম্পর্কে থাকা প্রতিটি মানুষের সমান দায়িত্ব থাকে তাকে সম্পূর্ণতা দেওয়ার ক্ষেত্রে। সুখে হোক বা দুঃখে হোক, মনের মানুষের যতটা কাছে পারা যায় ততটাই কাছে থাকতে পছন্দ করার নামই প্রেমের সম্পর্ক। বিশেষজ্ঞদের কথায়, জীবন খুবই ছোট, তাই দাম্পত্যের সম্পর্কে একসঙ্গে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে 'বেড়ে ওঠা'র মজাটাও প্রতি মুহূর্তে নেওয়া উচিত। আর দাম্পত্যের সম্পর্কের মাঝে যদি বন্ধ্যত্বের সমস্যা আসে, তাহলেও তার যন্ত্রণা দুজনে ভাগ করে নিতে হবে। সমস্যা স্ত্রীর হোক বা স্বামীর, অপরপক্ষের পাশে থাকা সব সময়ই জরুরি। তবে কীভাবে পাশে থাকা যায়, বা কীভাবে মানসিক সমর্থন যোগানো যায় তা দেখে নেওয়া যাক।
পরিসংখ্যান বলছে, বন্ধ্যত্বের সমস্যা ১৫ শতাংশ দম্পতিকে উদ্বেগে রাখে। সমীক্ষা বলছে, প্রতি ২৫ জন পুরুষের মধ্যে ১ জনের বন্ধ্যত্বের সমস্যা থাকে। সমীক্ষা এও বলছে,যে দম্পতিদের মধ্যে বন্ধ্যত্ব সন্তান লাভে বাধা হয় সেখানে ৩০ শতাংশ পুরুষের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা থাকে, আর ৩০ থাকে মহিলাদের। বাকি শতাংশে বিভিন্ন ফ্যাক্টর কাজ করে। পুরুষের বন্ধ্যত্বের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতা ফ্যাক্টর হয়। তারমধ্যে একটি স্পার্ম কাউন্ট বা স্পার্মের মান হতে পারে। তবে সমস্যা যাই থাকুক। বন্ধ্যত্বের সমস্যা যদি স্বামীর মধ্যে থেকে যায়, তাহলে তাঁর পাশে থাকার ক্ষেত্রে অনেকটাই সংবেদনশীল হতে হবে স্ত্রীকে। এজন্য কী কী করণীয় দেখা যাক। আরও পড়ুন-বাইরে লু বয়ে গেলেও বাড়ি ঠাণ্ডা রাখে এই গাছগুলি, পাবেন অনলাইনে অর্ডার দিলেও!
ধৈর্য রাখুন
স্ত্রীকে বুঝতে হবে স্বামীর মধ্যে শুধু শারীরিক জটিলতাই তৈরি হয়নি, তার কয়েকগুণ বেশি মানসিক যন্ত্রণাতে স্বামী রয়েছেন। ফলে স্বামীর সঙ্গে ধৈর্য রেখে চলতে হবে। স্বামীকে বুঝতে দিতে হবে, ভিড়ের মধ্যে তিনি একা হয়ে যাননি। তাঁর স্ত্রী সর্বদা তাঁর পাশে রয়েছেন।
আগ্রাসী হবেন না
বন্ধ্যত্বের কথা পরিবারে আসলেই নানান জনে বিভিন্ন কথা বলে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোকের কথায় কান না দিয়ে সাময়িক কষ্টকে দুজনে মিলে ভাগ করে নিন। নিজেদের সময় দিন। সন্তানলাভের জন্য আগ্রাসী হয়ে উঠবেন না।
সংবেদনশীল হোন
স্পার্ম ডোনারের বিষয়ে যদি স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে হয়, তাহলে তাঁর মানসিক যন্ত্রণার অবস্থা বুঝে কথা বলুন। তাঁর মতকে সবচেয়ে আগে রাখুন। সম্মান করুন তাঁর ইচ্ছাকে। তাঁকে কখনওই বুঝতে দেবেন না তিনি অক্ষম। দুজনে মিলে কথা বলুন নানান পরিস্থিতি নিয়ে।
রাগ দেখানোর সময় নয় এটা!
সমাজে বন্ধ্যত্বের প্রসঙ্গ আসলেই মহিলাদের দিকে আগে আঙুল ওঠে। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে বন্ধ্যত্বের সমস্যা মেনে নেওয়া খুবই কঠিন। আর তার নেপথ্যেও রয়েছে সমাজভাবনা। ফলে এমন এক জটিল অবস্থায় স্বামীর সঙ্গে রাগ থেকে বিরত থাকুন।
অন্যের সঙ্গে ভেবে আলোচনা করুন
স্বামীর বন্ধ্যত্ব নিয়ে স্ত্রীয়ের মনেও বহু প্রশ্ন থাকতে পারে, মনের কষ্ট স্বামীকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকেও বলতে ইচ্ছে করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা স্বাভাবিক মানবিক প্রবৃত্তি। তবে স্বামী ও স্ত্রীর গোপন ঘটনা বাইরের কারোর সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে সতর্ক হন। কাকে মনের কথা বলছেন, তাঁর সম্পর্কেও বিচার বিবেচনা করে নিতে হবে স্ত্রীকে।