মিনিমালিস্ট লাইফস্টাইলের কিছু দিক কিন্তু আমাদের জীবনের জন্য লাভদায়ক হতে পারে। একটি বড় বাড়িতে জিনিসপত্র গুছিয়ে না রাখলেও সহজেই জিনিস খুঁজে পাওয়া যায়, কিন্তু একটি ছোট বসবাসের জায়গায় জিনিস গুছিয়ে না রাখলে সেখানে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। আর তার জন্য দরকার, প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিস প্রতিদিন একটু একটু করে বর্জন করা। আর এখন পুজোর মরশুম। ঘরবাড়ি গুছিয়ে রাখবেন না, তা কী হয়? দেখে নিন কোন কোন সেই উপায় যেগুলি অবলম্বন করলে ছোট বাড়িও থাকবে গুছানো, পরিপাটি? আর পুজোর সময় হঠাত্ অতিথি এলেও সমস্যা থাকবে না?
আরও পড়ুন: (পুজোর পোশাকের সঙ্গে পারফেক্ট দুল খুঁজে হয়রান? জেনে নিন সাজগোজের কিছু সহজ টিপস)
অপ্রয়োজনীয় কাগজ
অপ্রয়োজনীয় কাগজ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। পুরোনো ম্যাগাজিন, কুপন, ক্যালেন্ডার কিংবা ছোটবেলায় হাতে আঁকা কোনও জিনিস, সবই অপ্রয়োজনীয় কাগজ। কিংবা কোনও ইলেকট্রনিক জিনিসের ম্যানুয়াল। এগুলি ঘর থেকে সরিয়ে ফেললে পরিষ্কার হবে অনেকটাই।
ভাঙা জিনিসপত্র
বাঙালি পরিবারগুলিতে অনেকেই ভাঙা জিনিসপত্রকে অশুভ মনে করেন। কিন্তু অনেকেই বিভিন্ন স্মৃতি আঁকড়ে বাঁচতে চান তাই জিনিস ভেঙে গেলেও ফেলতে চান না। এতে অযথা বাড়ির জায়গা নষ্ট হয়। তাই মন চাইলে আপনি সেটিকে সারিয়ে নিন কিংবা নিজের ফোনে একটা ছবি তুলে রেখে দিন।
মেয়াদোত্তীর্ণ জিনিস
নুডুলস, চকোলেট কিংবা ওষুধ। এমনকী আপনার প্রসাধনী সামগ্রী। একটু খেয়াল করে তাঁর মেয়াদের দিনগুলি দেখে প্রয়োজন অনুসারে ফেলে দিন। এতে নিজের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ঘরের ও উপকার হবে।
ব্যাগ
জিনিস নিয়ে যাওয়া কিংবা কাউকে কিছু পাঠানো, এমনকি বর্জ্য ফেলতেও প্রচুর প্লাস্টিক ব্যাগ বা অন্যান্য জিনিসের ব্যাগ লাগেই। তবে খুব বেশি ব্যাগ ঘরে রাখলে তা দেখতে খারাপ লাগে। কিছু ব্যাগ আপনি আপনার গাড়িতেও রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন: (পুজোয় একটু মিষ্টিমুখ না হলে চলে ? বাড়িতেই বানিয়ে নিন নবদ্বীপের মিষ্টি দই)
একাধিক রান্নাঘরের সরঞ্জাম
রান্নাঘরে একাধিক জিনিস লাগেই। কিন্তু খুব বেশি যে জিনিস প্রয়োজন নেই সেই সরঞ্জাম, কৌটো, হাতা, খুন্তি কিন্তু বাদ দিতেই পারেন।
বাচ্চাদের খেলনা
অবশ্যই আপনার বাচ্চাদের খেলার জন্য খেলনা দরকার, তবে সবকিছুরই সীমা থাকার প্রয়োজন। আপনার সন্তানের খেলনা গুলি ঘেঁটে দেখুন, এমন অনেক ভাঙাচোরা জিনিস বেরোবে যা সহজেই বর্জ্যনীয়।
অতিরিক্ত পাত্র এবং কৌটো
খাবার থেকে শুরু করে বিভিন্ন জিনিস রাখতে প্রচুর পাত্র বা কৌটো লাগে। আমরা আজকাল রেস্তঁরা থেকে খাবার আনলেও কৌটো পাই। কিন্তু বহুদিন ধরে এই কৌটো ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। তাই জায়গা কিংবা শরীর দুইই বাঁচাতে এগুলি বর্জন করুন।