সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি সাপের ভিডিয়ো। সেই সাপটিকে ধরা হয়েছে বিহারের বেগুসরাই এলাকা থেকে। সেই সাপটির নাকি দু’টি মাথা। এবং তার দামও নাকি ২৫ কোটি টাকা। এহেন সাপটিকে হাজির করা হয় আদালতে। বিচারককে দেখানো হয় সেটি। বন দফতরের কর্মীরা সেটিকে নিয়ে আসেন আদালতে। বিহারের এক সংবাদমাধ্যমের সূত্রে এর ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। তার পর থেকেই আলোচনায় এই সাপটি।
কিন্তু কেন এমন দাম এই সাপের? কী প্রজাতির সাপ এটি? আদৌ কি এর দু’টি মাথা সম্ভব?
আদালতে বনরক্ষীরা জানিয়েছেন, এই বিশেষ সাপটির প্রজাতির নাম ‘রেড স্যান্ড বোয়া’। সচরাচর এই সাপটি দেখতে পাওয়া যায় না। এমনকী বনকর্মী নিজেও জানিয়েছেন, তিনি প্রথমবার এটি দেখলেন।
সাপটির চরিত্র কেমন?
এটি বিষধর সাপ নয়। এর কামড়ে কারও কোনও ক্ষতি হয় না। এমনকী মানুষকেও আক্রমণ করে না এই সাপ। ছোটখাটো পোকামাকড় খেয়ে বেঁচে থাকে এই জাতীয় সাপ। সাধারণত শুকনো এলাকা, যেখানে বালির মাত্রা বেশি, সেখানেই এই সাপ পাওয়া যায়।
কেন এত দাম?
এর বিরল ধরনের বৈশিষ্ট্যের কারণে এত দাম। এই সাপটি সাধারণত তান্ত্রিকরা নানা কাজে ব্যবহার করেন বলেও জানিয়েছেন বিহারের বনকর্মীরাই। তবে সেই কারণে এই সাপের এথ দাম নয়। এটির দামের পিছনে রয়েছে চিনের বাজারের ভূমিকা। এই জাতীয় সাপ নাকি সেই দেশের বাজারে বিপুল পরিমাণে বিক্রি হয়। অনেকের ধারণা এই সাপ থেকে নাকি এমন ওষুধ তৈরি করা যায়, যা যৌন বলবর্ধক হিসাবে কাজ করে। সেই কারণেই বিপুল দামে বিক্রি হয় এটি। তবে সেটির দাম সত্যিই ২৫ কোটি নাকি সেটি পুরোটাই গুজব, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।
সত্যিই কি সাপটির দু’টি মাথা?
না, তেমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রকৃত পক্ষে এই স্যান্ড বোয়া জাতীয় সাপ বালির মধ্যে তাদের শরীর গুঁজে রাখে। লেজের প্রান্তটি তারা নিরন্তর বালিতে ঘষে এবং বালির ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। ফলে লেজের দিকটিও সূচোলো আকৃতি ধারণ করতে থাকে। ফলে দেখে মনে হয়, ওদিকে আর একটি মাথা রয়েছে। সেই কারণেই এই বিশেষ প্রজাতির সাপটিকে দুই মাথাওয়ালা সাপ বলা হয়।
সাপটির ভবিষ্যৎ কী?
বনকর্মীরা জানিয়েছেন, সাপটি যে ধরনের পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে, সেই ধরনের শুকনো পরিবেশে এটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে বা কৃত্রিম পরিবেশ সৃষ্টি করে রাখা হবে। সেটি সরকারের বিচার্য বিষয়।