প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি সারা ভারত জুড়ে অত্যন্ত উৎসাহ এবং গর্বের সঙ্গে পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস। পড়ুয়ারা যদি এই দিনে দেশাত্মবোধক রঙে নিজেদের ক্লাসরুম বা ঘর সাজাতে চায়, তবে জাতীয় পতাকার সাধারণ তিন রঙের কাগজ ব্যবহার করেই সাজসজ্জার সামগ্রী তৈরি করতে পারে। 'প্রজাতন্ত্র দিবসে, আমরা আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানাই এবং আমাদের দায়িত্ব পালনের প্রতিশ্রুতি দিই,' স্কুলে গিয়ে পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে এমনই নানা স্পিচ দিতে পারে পড়ুয়ারা। বক্তৃতা শোনার পর সবার উৎসাহ বেড়ে যাবে!
আরও পড়ুন: (Inspiring Video: ব্যবহৃত সিগারেট দিয়ে তৈরি করেন টেডি, ভাইরাল নয়ডার বাসিন্দা অনন্য কীর্তি)
প্রজাতন্ত্র দিবসের ক্র্যাফট আইডিয়া
তিন রঙের কাগজের ঝাড়বাতি: তিন রঙের কাগজ সমানভাবে কেটে স্ট্রিপ তৈরি করতে হবে। একটি রিং তৈরি করতে কমলা, সাদা এবং সবুজ স্ট্রিপগুলি একের পর এক সংযুক্ত করতে হবে। আঠালো বা একটি স্ট্যাপলার দিয়ে প্রতিটি রিং বন্ধ করে নিয়ে, একের পর এক যুক্ত করে নিতে হবে। দেওয়াল, জানালা বা দরজায় এই কাগজের ঝাড়বাতি ইনস্টল করতে পারেন।
তিনরঙা কাগজের ফুল
তিনটি রঙের কাগজ নিয়ে ফুলের আকারে কেটে নিতে হবে। কমলা, সাদা এবং সবুজ রঙের কাগজগুলো একে অপরের উপরে রাখতে হবে। মাঝখানে একটি ছোট নীল রঙের গোল কাগজ রাখা যেতে পারে, যা অশোক চক্রের প্রতিনিধিত্ব করবে। এই ফুলগুলো আঠার সাহায্যে দেওয়ালে লাগানো যেতে পারে বা টেবিল সাজানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
তিনরঙা কাগজের 'পেপার ফ্যান'
তিনটি রঙের কাগজ ভাঁজ করে করে পেপার ফ্যান বানানো যাবে। ভাঁজ করার পর আঠা দিয়ে প্রান্তগুলি আটকে নিতে হবে। এরপর এগুলো সুতো ব্যবহার করে দেয়াল বা ছাদেও ঝুলিয়ে রাখা যাবে। কিংবা চাইলে দেওয়ালেও আটকে দেওয়া যেতে পারে।
পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে এমন স্পিচ দিতে পারে পড়ুয়ারা
সকল সম্মানিত অতিথি, অধ্যক্ষ, শিক্ষক এবং সকল ছাত্র-ছাত্রীদের প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করতে হবে ভাষণ।
তারপরের লাইন হবে কিছুটা এরকম:
দেশকে স্বাধীন করার জন্য যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন সেই বীরদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ভারত যখন স্বাধীন হয়েছিল, তখন এটি ছিল দাসত্ব থেকে মুক্ত ভারতের জন্য একটি নতুন ভোর।
দেশকে নতুন রূপ দেওয়ার জন্য জনগণ ছিল শক্তিতে ভরপুর। আমাদের সংবিধান ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি কার্যকর হয়। ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসাবে পরিচিত। স্বাধীনতার পরও দেশকে অনেক সংকটের সম্মুখীন হতে হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকট ছিল দেশভাগ। দাঙ্গায় লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারায়।
দেশভাগের কারণে দারিদ্র্য ও বেকারত্বের সমস্যা বেড়েছে। এই সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে ভারত এতটাই উন্নতি করেছে যে চাঁদ এবং মঙ্গল গ্রহে পৌঁছনোর মতো কয়েকটি দেশের মধ্যে ভারতও বর্তমান। ভারত এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি।
আমি বলতে চাই, দেশে বসবাসকারী মানুষের সততা, কাজের প্রতি নিষ্ঠা, সততা ও নৈতিকতা দেশকে মহান করে। স্বামী বিবেকানন্দ বলতেন, যে ব্যক্তি শিক্ষিত কিন্তু সমাজ ও দেশের কথা ভাবে না, সে পাথরের মতো এবং পাথরে কখনও ফুল ফুটতে পারে না। যদি কিছু হতে চাও, তবে মাটি হয়ে যাও ভারত মাতার মতো। মাটিতে নানা রকমের ফুল ও ফসল ফলবে এবং আনন্দ ভাগাভাগি করবে।
এইবার ভাষণ শেষ করার আগে বলতে হবে- আজ এখানে এসে আমার মতামত প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। জয় হিন্দ।
এছাড়াও এই ৩ বিষয়ে ভাষণ দেওয়া যেতে পারে
ভারতের প্রজাতন্ত্রের অর্থ এবং সংবিধান নিয়ে স্পিচ দেওয়া যেতে পারে। আমাদের জাতীয় পতাকার ইতিহাস বর্ণনা করা যেতে পারে। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর ভাষণ উদ্ধৃত করেও কথা বলা যেতে পারে।