২০২৫ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকবে ভারত। বাবা এবং ছেলে দুজনেই প্রথমবারের মতো দিল্লির কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন। জানা গিয়েছে, দিল্লি অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভবানীশ কুমারের সঙ্গে যোগ দেবেন তাঁর ছেলে লেফটেন্যান্ট আহান কুমার। আহান ৬১ অশ্বারোহী বাহিনীর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার অর্থাৎ লিডার।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল কুমার কুচকাওয়াজের নেতৃত্ব দেবেন এবং লেফটেন্যান্ট আহান বিখ্যাত হর্স রেজিমেন্টের দায়িত্বে থাকবেন। এটি একটি বিশেষ মুহূর্ত। কারণ লেফটেন্যান্ট আহান তাঁর পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের একজন হিসাবে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছেন, যা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে একটি গর্বিত পারিবারিক ঐতিহ্যেরই পরিচয় দেয়।
আরও পড়ুন: (Belly Fat: আপনার পেটের চর্বি কতটা ক্ষতিকারক অবস্থায় রয়েছে! মেপে দেখতে পারেন এইভাবে)
কুমার পরিবারের জন্যও একটি বিশেষ মুহূর্ত
উল্লেখ্য, কুমার পরিবারের জন্য, প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়া খুবই অর্থবহ, যা দেশের সেবায় তাঁদের দীর্ঘ প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এ প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভবানীশ কুমার বলেন, লেফটেন্যান্ট আহান কুমার আমাদের পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের অফিসার। তাঁরই পাশাপাশি অন্যান্য তরুণ অফিসার, সৈনিক এবং জুনিয়র কমিশন্ড অফিসারদের (জেসিও) শক্তি এবং আবেগে ভরপুর দেখে আমরা খুব গর্বিত এবং আনন্দিত।
খুব স্বাভাবিকভাবেই, এই অভিজ্ঞতা কুমার পরিবারের জন্য একটি বিশেষ স্মৃতি হয়ে থাকবে। দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং গর্বে ভরা স্মৃতি যাকে বলে। এ প্রসঙ্গে, লেফটেন্যান্ট আহান কুমার তাঁর অনুভূতি শেয়ার করে বলেন, বাবার সঙ্গে দাঁড়িয়ে মার্চ করা এবং সেনাবাহিনীতে পরিবারের ঐতিহ্য ধরে রাখা অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। এটি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত।
আরও পড়ুন: (Viral Video: এয়ারপোর্টে ঢুকে পড়ল বাঁনর, তাড়াতে এসে মহিলা কর্মীর এমন আচরণে হেসে খুন মানুষ)
প্রসঙ্গত, ২৬শে জানুয়ারি ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের জন্য প্রস্তুত নয়াদিল্লির কর্তব্য পথ। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনে দেশকে নেতৃত্ব দেবেন। কুচকাওয়াজ দেখার জন্য প্রায় ১০,০০০ বিশেষ অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই প্রথমবারের মতো, কর্তব্য পথে একটি বিশেষ ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিন অংশ, নেভি, বায়ুসেনা সহ স্থলভিত্তিক জওয়ানদের একটি বিশেষ প্রদর্শনী প্রদর্শিত হবে, যা ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে দলগত কর্মকাণ্ড হাইলাইট করবে।