অপারেশন করে যখন রোগীদের কিডনি থেকে পাথর বের করা হয় তখন অনেক সময়ই ছোট পাথরগুলোকে বের করেন না চিকিৎসকরা। যার ফলে মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই কিন্তু এই রোগটি ঘুরে আসতে পারে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমনটাই ধরা পড়েছে। এই গবেষণাপত্রটি নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
যখন কিডনি স্টোনের অপারেশন করা হয় তখন সাধারণত ৬ মিলিমিটারের কম ডায়ামিটার যুক্ত পাথরগুলোকে প্রাথমিক ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না বা সরানো হয় না। তবে নজরে রাখা হয়, কারণ এরা পরে সমস্যা তৈরি করে। এমনটাই জানিয়েছেন ওয়াশিংটন স্কুল অফ মেডিসিনের ইউরোলজিস্ট ডক্টর ম্যাথিউ সোরেনসেন। তিনি জানিয়েছেন এই গবেষণাটির আগে সাধারণত চিকিৎসকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় যে কিডনির এই ছোট পাথরগুলোকে বের করা উচিত কি উচিত নয় সেই বিষয় নিয়ে। অনেকেই এই পাথরগুলো বের করেন না অপারেশনের সময়।
২০১৫ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা করিয়েছে এমন ৭৫ টি রোগীর তথ্য আলোচনা করা হয়েছে এই গবেষণায় যাঁরা কিডনির পাথরের কারণে সমস্যায় ভুগছিলেন। এর মধ্যে অর্ধেক জনেরই শুধু বড় পাথরগুলো বের করা হয়েছে। অন্যদিকে বাকিদের ক্ষেত্রে ছোট বড় দুটো ধরনের পাথরই বের করা হয়েছে। যাঁদের এই ছোট পাথরগুলো সরানো হয়নি তাঁদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে সেই পাথরগুলো ক্রমশই পরবর্তী কলে বড় আকার ধারণ করেছে। যাঁদের এই ছোট পাথরগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে কিডনি স্টোন আবার হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় 82 শতাংশ কমে গিয়েছে।
এই গবেষণায় এও দেখা গিয়েছে ছোট পাথর বের করতে যে অতিরিক্ত সময় এবং অর্থ খরচ হয় তা দ্বিতীয়বার আবার এই রোগটা হওয়ার থেকে, এবং চিকিৎসা করার থেকে কোন দামী।
তাই এই গবেষণাপত্রের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত আছেন তাঁরা মনে করে আগামীদিনে এই গবেষণার কারণে হয়তো চিকিৎসকদের ছোট পাথরগুলো নিয়ে যে মনোভাব আছে সেটা বদলাবে।