গরুকে নির্দিষ্ট জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করার প্রশিক্ষণ দেওয়া গেলে, তারা তা সহজেই শিখে নেয়। এর ফলে কমতে পারে দূষণের মাত্রা। পরিবেশের উপকার হয়। তাছাড়া সহজেই সেই মলমূত্রকে সারের কাজেও ব্যবহার করা যায়।
সম্প্রতি ‘কারেন্ট বায়োলজি’ নামক জার্নালে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। সেই গবেষণাটি চালিয়েছেন, জার্মানির ‘রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর ফার্ম অ্যানিমাল বায়োলজি’ এবং নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। সেখানে তাঁরা দাবি করেছেন, গবাদি পশুর বর্জ্যের কারণে দূষণের মাত্রা দ্রুত বাড়ছে। তৈরি হচ্ছে গ্রিন হাউজ গ্যাস। এটি গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের অন্যতম কারণ। শুধুমাত্র গবাদি পশুদের মলমূ্ত্র ত্যাগের কারণেই পরিবেশে বদল আসছে।
এই সমস্যা থেকে বাঁচার উপায় কী? জার্মানির ‘রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর ফার্ম অ্যানিমাল বায়োলজি’ এবং নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেন, যদি গরুদের নির্দিষ্ট জায়গায় মলমূত্র ত্যাগের অভ্যাস তৈরি করে দেওয়া যায়, তাহলে এই সমস্যা অনেকাংশে কমতে পারে। সেই কারণেই তাঁরা গরুদের বাথরুমে যাওয়ার প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন।
কী দেখা গিয়েছে এই পরীক্ষায়?
- গরুদের বাথরুমে গিয়ে মলমূত্র ত্যাগ করানোর অভ্যাস রপ্ত করাতে চাইলে, তা মোটেই খুব একটা কঠিন কাজ নয়। এমনকী মানব শিশুদের থেকেও কোনও কোনও ক্ষেত্রে তারা বেশি তাড়াতাড়ি শিখে নেয় এটি।
- খাবার বা অন্য কোনও উপহারের লোলভ দেখালে, তারা অত্যন্ত সহজে এই অভ্যাস রপ্ত করে নিতে পারে।
- একটা গরুর এই অভ্যাস রপ্ত হয়ে গেলে, তাকে দেখে অন্য গরুও এই অভ্যাসটি রপ্ত করে নিতে পারে।
মূলত খাবারের লোভ দেখিয়েই গরুদের এই অভ্যাসটা রপ্ত করানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। শুধু মলমূত্র ত্যাগই নয়, এর পরে জল ঢালার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে তাদের। আগামী দিনে এই ভাবে গবাদি পশুর কারণে তৈরি হওয়া দূষণের মাত্রা অনেক কমানো যাবে বলে বিজ্ঞানীদের আশা।