ক্যালরিতে ভরপুর খেজুরে একাধিক পুষ্টিকর উপাদান উপস্থিত থাকে। খেজুর আবার ফাইবারে সমৃদ্ধ, যা আমাদের সুস্বাস্থ্য ও হজম শক্তি বৃদ্ধিতে উপযোগী। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নানা রোগের সম্ভাবনাকে কম করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকরিতা বৃদ্ধি করে।
তবে অধিক মিষ্টি ও ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে অনেকেই খেজুর খাওয়ার সঠিক সময় বাছাই করে উঠতে পারেন না। কাঁচা খাওয়া উচিত, না সারা রাত ভিজিয়ে রেখে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন অনেকে। আবার খালিপেটে খাবেন, না রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে খেজুর খাবেন, তাও অনেকে বিচার করে থাকেন। জানুন খেজুর খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত ও অনুপযুক্ত সময় কোনটি।
উপযুক্ত সময়প্রাকৃতিক ভাবে খেজুরে চিনির পরিমাণ বেশি থাকলেও এটি তৎক্ষণাৎ রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে না। ওয়ার্কআউটে করতে যাওয়ার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট আগে দুটি-চারটে খেজুর খাওয়া যেতে পারে। খেজুরে উপস্থিত কার্বসগুলি ধীরে ধীরে নিঃসৃত হয়, ফলে ওয়ার্কআউটের সময় শরীর থাকে এনার্জেটিক।
আবার এতে উপস্থিত ফাইবার ব্যক্তির খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই খেজুর স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী স্ন্যাক্স এবং ঘুমোতে যাওয়ার আগে এটি খাওয়া যেতে পারে। অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস, গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পরিষ্কার করতে, হৃদয় ও লিভার সুস্থ রাখতে সকালে খেজুর খাওয়া উচিত। কিছু গবেষণায় জানা গিয়েছে, খেজুর শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং এটি একটি অ্যাফ্রোডিসিয়াক হিসেবে কাজ করে। আবার এতে উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান চুল ও ত্বককে সুস্থ রাখে।
খেজুর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। আবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, মস্তিষ্ক ও হৃদয়ের স্বাস্থ্যোন্নতি ঘটাতে ও রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও এটি সহায়ক। এমনকী অ্যালজাইমার্স, নানা ধরনের ক্যানসার বা ক্রনিক রোগ প্রতিরোধেও সহকারী ভূমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরাও।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ হওয়ায় খেজুর ডায়বিটিজ রোগীদের অথবা যাঁদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বর্ডারলাইনে থাকে তাঁদের পক্ষেও উপযোগী। পলিফেনলে সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরে ইনফ্লেশন রোধ করতে সক্ষম খেজুর।
অনুপযুক্ত সময়
বদহজমের প্রবণতা থাকলে খাবার খাওয়ার পর খেজুর খাবেন না। আবার খেজুরে উপস্থিত সরবিটল নামক শুগার অ্যালকোহল বাওয়েল মুভমেন্ট অত্যধিক পরিমাণে বাড়িয়ে দেয়। ডায়েরিয়ার সমস্যা থাকলে খেজুর খাওয়া উচিত নয়।
আবার ফ্রুক্টোসে সমৃদ্ধ খেজুর। তাই খেজুরে অ্যালার্জি, ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম ও সেন্সিটিভিটির সমস্যা থাকলে খেজুর না-খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
Disclaimer- এই প্রতিবেদনে প্রদত্ত তথ্যের যথার্থতা ও বাস্তবিকতা সুনিশ্চিত করার যথাসম্ভব চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এর নৈতিক দায়িত্ব হিন্দুস্তা ন টাইমস বাংলার নয়। তাই পাঠকদের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে, যে কোনও উপায় অবলম্বনের পূর্বে যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন করবেন। অবশ্যই চিকিৎসকদের পরামর্শ নেবেন। আপনাদের তথ্য সমৃদ্ধ করাই আমাদের উদ্দেশ্য।