AI, অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বর্তমানে সারা বিশ্বে AI দ্বারা সম্ভব হচ্ছে অনেক অসম্ভব কাজ। সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রভাব বিস্তার করেছে AI। প্রযুক্তির উন্নতির অন্যতম নিদর্শন হলো এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এবার এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে বিশ্বের প্রথম AI ড্রেস তৈরি করলেন ক্রিস্টিনা আর্নস্ট।
ক্রিস্টিনা গুগলে কর্মরত একজন কর্মী। তিনি টেক জায়ান্টের একজন সফটওয়্যার কর্মী হওয়ার সাথে সাথে SheBuildsRobots.org - এর প্রতিষ্ঠাতা। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যার মূল লক্ষ্য হল মহিলাদের রোবট তৈরিতে শিক্ষিত করা।
(আরও পড়ুন: মাত্র ৫০,০০০ টাকা দিয়েই ঘুরে আসুন থাইল্যান্ড, সুবর্ণ সুযোগ দিচ্ছে IRCTC, এইভাবে বুক করতে পারবেন
ক্রিস্টিনা যে ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সেখানে দেখা গিয়েছে, একজন মহিলা একটি কালো ড্রেস পরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ড্রেসটির নাম ‘মেডুসা ড্রেস’। পোশাকটির কোমরের দিকে তিনটি সোনালী রঙের সাপ ঝুলতে দেখা যাচ্ছে, তার সঙ্গে গলায় দেখা গিয়েছে একটি বড় রোবোটিক সাপ।
ভিডিয়োটি শেয়ার করে মিসেস আর্নস্ট লিখেছেন, ‘এই রোবটিক সাপের পোশাকটি তৈরি করলাম। এতে একটি ঐচ্ছিক মোড সেট করেছি, যার ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সাপের মাথা ঘোরানো যায়। যে ব্যক্তি এই পোশাকটি পরবেন, সেই ব্যক্তি যেদিকে তাকাবে সাপটিও সেই দিকেই তাকাবে। এক নজরে দেখলে মনে হবে, সাপটি একেবারে জ্যান্ত।’
(আরও পড়ুন: ওজন কমানো হোক বা চুল থেকে ত্বকের সমস্যা, সব কিছুর মুশকিল আসান অ্যালোভেরা)
ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই ২.৯ মিলিয়ন মানুষ দেখে ফেলেছেন। লাইক করেছেন ১.৪ লক্ষ মানুষ।ভিডিয়োয় ইতিবাচক এবং নেতিবাচক কমেন্ট করেছেন নেটিজেনরা। একজন যেমন লিখেছেন,"সাপগুলিকে দেখতে খেলনার মতো লাগছে। আরও সুন্দর আশা করেছিলাম।" তেমন অন্য একজন লিখেছেন, ‘এটি ভীষণ অনুপ্রেরণাদায়ক। যারা মন্তব্য করছেন, ভালো কিছু আশা করছেন, তাঁরা হয়তো জানেন না এটি করতে কতটা পরিশ্রম আর সময় লেগেছে।’
ক্রিস্টিনাকে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে একজন লিখেছেন, ‘এটি সত্যি ভীষণ আশ্চর্যজনক। খুব ভালো কাজ করেছেন আপনি।’ একজন পোশাকটির প্রশংসা করে বলেছেন, “কেউ যদি হঠাৎ করে পাশ দিয়ে হেঁটে যায়, তাহলে সত্যিই চমকে যাবে এই পোশাকটি দেখে। সাপ যদি এভাবে মাথা নাড়ায়, তাহলে এমনিতেই ভয় পেয়ে যাবে যে কেউ।" অন্য একজন লিখেছেন, “ফ্যাশন জগতে ধীরে ধীরে প্রযুক্তি প্রভাব ফেলছে ব্যাপকভাবে, এটা দেখে সত্যিই ভালো লাগছে।"