DELHI : রুটির চেয়ে ভাত ভালো, নাকি এর উল্টোটা? এটি একটি পুরানো প্রশ্ন। নয়াদিল্লির আকাশ হেলথকেয়ার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের প্রধান ডায়েটিশিয়ান ডক্টর গিন্নি কালরা এইচটি লাইফস্টাইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছেন।
এই ডায়েটিশিয়ান বলেন, 'ভাতের তুলনায় রুটিতে মিনারেল বেশি থাকে। যদিও রুটি এবং ভাত উভয়ই কার্বোহাইড্রেটে বেশি, তবে রুটিতে প্রোটিনের পরিমাণ ভাতের তুলনায় একই রয়েছে। এই পুষ্টি বিশেষ করে সাদা ভাতে কম হয়। এক বাতি ভর্তি ভাত খাওয়ার পরেও আপনি দ্রুত ক্ষুধার্ত বোধ করেন কারণ ভাতের মধ্যে স্টার্চ হজম করা কতটা সহজ। অতিরিক্তভাবে, ভাত সাধারণ কার্বস দিয়ে তৈরি। এটা তন্তুযুক্ত নয়। এটি দ্রুত এবং সহজেই হজম হয়।
আরও পড়ুন: (‘কুকুরের জন্য ভয়ানক পরিস্থিতি’, লোকসভায় বললেন বিজেপি সংসদ অতুল গর্গ)
কেন রুটি ভাতের চেয়ে ভাল?
স্থূলতা: বিশেষত ডায়াবেটিস এবং স্থূলত্বের রোগীদের জন্য রুটি একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প।
ওজন হ্রাসকে সমর্থন করে: আপনি যদি ওজন হ্রাস করতে চান বা আপনার যদি ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকে তবে রুটি নির্বাচন করা আরও ভালো পছন্দ।
ভাত দ্রুত হজম হয়: ভাত একটি সাধারণ কার্ব যা দ্রুত হজম হয় এবং রক্ত প্রবাহে গ্লুকোজ ছেড়ে দেয়, যা রক্তে শর্করার স্পাইক সৃষ্টি করে। বিপরীতে, রুটি একটি কম-জিআই কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, যা ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে যখন তারা এটি গ্রহণ করে।
আরও পড়ুনঃ (লং কোভিড কী? কীভাবে বুঝবেন আপনি এই রোগে আক্রান্ত)
রুটি শরীরে তৃপ্তি আনে: রুটিতে থাকা ফাইবার আপনার অন্ত্রকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি আপনার পূর্ণতার অনুভূতি দীর্ঘায়িত করতে সহায়তা করে।
লবণের তাৎপর্য: রুটিতে লবণের ঘনত্ব একটি ধরার আরেকটি অনুপ্রেরণা। প্রায় ১২০ গ্রাম গমে ৯০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম পাওয়া যায়। আর স্বাস্থ্যের জন্য লবণের গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবে না। সোডিয়াম জল ধরে রাখে, যা রক্তের তরলতা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। আপনার দেহের এই পদার্থের প্রয়োজন যেহেতু ঘন রক্তের ফলে হার্টের সমস্যা এবং অঙ্গ ব্যর্থতা হতে পারে। বিপরীতে, চালে খুব বেশি লবণ থাকে না।
পুষ্টিগুণ: সোডিয়াম ছাড়াও রুটিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম রয়েছে, যা চালে অভাব রয়েছে।
Disclaimer: এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র তথ্যমূলক উদ্দেশ্যে এবং পেশাদারী চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়। কোনও মেডিকেল অবস্থা সম্পর্কে যে কোনও প্রশ্নের সাথে সর্বদা আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।