পৌলমী চক্রবর্তী
প্রায় ৩০ বছর ধরে প্রতি বছরই সাধুমেলার আয়োজন করা হয় থিয়েটার হাউসে। বিখ্যাত নাট্যকার জর্জি গ্রোটোস্কির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দুদিনব্যাপী এই বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থিয়েটার হাউস। তবে এর বিশেষত্ব অন্য জায়গায়। ১১ জানুয়ারি থেকে ১৩ জানুয়ারির এই অনুষ্ঠানে হিন্দুধর্মের ১০০ আলাদা আলাদা শাখার সাধুরা এসে উপস্থিত হন। সাধুদের এই মেলায় তাদের মধ্যে একদিকে যেমন সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান চলে, তেমনই অন্যদিকে চলে আধ্যাত্মিক বিনিময়।
থিয়েটার হাউসের ঐতিহ্য
১৯৯০ সালে অবনী বিশ্বাসের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল থিয়েটার হাউস। তখন থেকে আজ প্রায় তিন দশক পেরিয়ে এই সম্মিলনের উদযাপন অব্যাহত। প্রতি বছরই এই উদযাপনের একটাই লক্ষ্য বলে জানাচ্ছেন অবনীবাবু। তাঁর কথায়, ‘এই মেলা শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক বা আধ্যাত্মিক ভাবনা আদানপ্রদানের ক্ষেত্র নয়। সাধুমেলা একই সঙ্গে থিয়েটার হাউসের দর্শনকেও বহন করে চলে। শিল্পের মধ্যে দিয়ে ধর্মের উদযাপনই আমাদের হাউসের দর্শন।’
আরও পড়ুন - ফ্য়াট না থাকলেও শরীরের এই পেশি ঘটাতে পারে হার্ট অ্যাটাক! খোঁজ নয়া গবেষণায়
জয়দেবের মেলার অন্তরঙ্গ কথা
সাধুমেলার মতোই সাধারণের নজর কাড়ে ও দীর্ঘদিন ধরে আকর্ষণের বিষয়বস্তু হয়ে রয়েছে জয়দেবের মেলা। বীরভূমের এই মেলা পৌষ মেলা শেষ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যায়। মধ্য় যুগের বাংলার কবি জয়দেবকে স্মরণ করেই প্রতি বছরের গোড়ায় এই বিশেষ মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, কবি জয়দেবের গীতগোবিন্দ আজও বাংলার কাব্যের এক অমূল্য সম্পদ। প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় আয়োজন করা হয় এই মেলার।

আরও পড়ুন - অবসাদ, উদ্বেগই কম বয়সে হার্টের রোগের কারণ? আলোচনায় প্রবীণ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ
চলে সেবামূলক কাজ
বীরভূমের জয়দেব মেলা এই বছর ১৪ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চলেছে। শান্তিনিকেতন থেকে মাত্র ৪২ কিলোমিটার দূরেই আয়োজিত হয় এই বিশেষ মেলা। মেলার পাশাপাশি বাউলদের আখড়া ও গানবাজনা বিশেষ আমেজ এনে দেয় গোটা এলাকায়। বাউলগানের পাশাপাশি অষ্টপ্রহর শ্রীনামসংকীর্তনও চলে মেলার সময়। শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের তরফে বিভিন্ন সেবামূলক কাজের ধারাও অব্যাহত থাকে মেলার কয়দিন জুড়ে।