এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তো বটেই, সারা দেশের মানুষও অভয়া কাণ্ডে প্রতিবাদে হয়েছেন মুখর। ন্যায় বিচারের আশায় পথে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু এর মধ্যেই উঠে এসেছে দুর্গাপুজোর প্রসঙ্গ। সরকারের অনুদান নিয়ে দুর্গাপুজো করা উচিত নয়, এমন বক্তব্য বারবার উঠে এসেছে সকলের মুখে। তাই এবার সরকারের অনুদানকেই একেবারে অনবদ্য পদ্ধতিতে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিলেন দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম নামী পুজো কমিটির সদস্যরা।
আর জি কর কাণ্ডের পর কলকাতা এবং বিভিন্ন জেলার কিছু পুজো কমিটি সরকারের অনুদানের অর্থ ফেরত দিয়েছেন। তবে সরকারের অনুদান ফেরত দিয়ে নয়, বরং সেই অনুদানকেই অন্যরকম ভাবে কাজে লাগালেন দক্ষিণ কলকাতার এক নামী পুজো সংস্থা। অনুদানের টাকা খরচ করা হবে মহিলাদের নিরাপত্তার স্বার্থেই, জানালেন সেই দুর্গাপুজো কমিটি গুলির সদস্যরা।
(আরও পড়ুন: ধূমপান করেন? ফুসফুসের ক্ষতি তো করছেনই, হার্টের কতটা ক্ষতি করছেন জানেন)
এই প্রসঙ্গে পশ্চিম পুটিয়ারির উন্নয়নী সংঘের পুজো কমিটির সম্পাদক স্বস্তিক সরকার বলেন, ‘এই বছর আমাদের পুজো ৭৫ বছরে পদার্পণ করবে। আমরা এই বছর সরকারের অনুদানের টাকায় মেয়েদের সেফটি কিট বিল করব। এইভাবে প্লাটিনাম জুবিলী স্মরণীয় করে রাখবো আমরা।’
কী থাকবে সেই সেফটি কিটে? জিজ্ঞাসা করায় ইস্ট বেলেঘাটা জনকল্যাণ সংঘের কোষাধ্যক্ষ দেবজ্যোতি গুহ বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা মহিলাদের জন্য সেফটি কিট বিলি করা। এই কিটে থাকবে টর্চ, পেপার স্প্রে, একটা মেটাল স্টিক এবং হুইসল। যে সমস্ত মেয়েরা প্রতিমা দর্শন করতে আসবেন, তাঁদের প্রত্যেককে দেওয়া হবে এই কিট।’
(আরও পড়ুন: ফের নামছেন নীরজ, প্যারিসে রুপো ছাড়াও নজর কেড়েছিল ৫২ লাখের ঘড়ি!)
এই দুই ক্লাব থেকেই জানানো হয়েছে, পাড়ার ক্যারাটে ক্লাবে যাতে বেশি করে মেয়েরা ভর্তি হতে পারে, সেইদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। সমাজসেবী সংঘের অরিজিৎ মৈত্র বলেন, ‘সরকারি অনুদানে যে টাকা পাওয়া যাবে, তার সঙ্গে আরও কিছু টাকা যোগ করে গোটা পাড়াকে সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়িয়ে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা। ইতিমধ্যেই রবীন্দ্র সরোবর থানার সঙ্গে কথা হয়েছে। কোনও রকম কু কাজ যেন না হয় সেইদিকে আমরা সবসময় সতর্ক থাকবো।’