গানের রানার তিনি। আকাশে একদিন অনেক গানের পাখি উড়িয়েছিলেন। সুরের নানা আঙিনায় অবাধ বিচরণ ছিল ওঁর। ভালোবাসার গান, সঙ্গবদ্ধ হওয়ার গান, গণ আন্দোলনের গান— নানা বিষয়ে ওঁর বিচরণ সপ্রতিভ। এক শিক্ষক দিবসেই প্রয়াত হন সলিল চৌধুরী। তাঁর সঙ্গীত সফরে দীর্ঘদিন সহযোগী -যন্ত্রী ছিলেন দেবজ্যোতি মিশ্র। সম্প্রতি তাঁর প্রচেষ্টায় আয়োজিত হল এক মিউজিক্যাল থিয়েটার।
(আরও পড়ুন: রেবিস প্রাণ কাড়ল কিশোরের! কুকুরের কামড় কাল হল বড়দের কাছে লুকিয়েই)
সলিল চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ আসন্ন। তার সূত্রপাত হয়ে গেল সানফ্রান্সিসকোর বে শহরে বঙ্গমেলায়। প্রবাদপ্রতিম গায়কের জীবনভিত্তিক এক মিউজিক্যাল থিয়েটার সম্প্রতি সেখানে উপস্থাপিত হল। নাম জীবন উজ্জীবন। এর সম্পূর্ণ চিত্রনাট্য লিখেছেন দেবজ্যোতি মিশ্র। সঙ্গীতাংশের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। চল্লিশ মিনিটের নাটকে উঠে এসেছে আসামের চা বাগান থেকে ওঁর মুম্বই সফর। গানে কখনও ‘দো বিঘা জমিন’ তো কখনও ‘আনন্দ’ ছবির ‘জিন্দেগি ক্যায়সি পেহেলি’, ‘কখনো মধুমতী’, ‘না মন লাগে না’, ‘এই দুনিয়ায় ভাই সবই হয়’, ‘পথে এবার নামো সাথী’ থেকে ‘আহ্বান শোনো আহ্বান’।
(আরও পড়ুন: অর্থের অনটন কাটবে, পাবেন সুখবর! শ্রীকৃষ্ণের ছবি রাখুন ঘরের এই দিকে)
দেবজ্যোতি মিশ্র এই দিন বলেন, ‘সলিল চৌধুরীকে নিয়ে তাঁর একটা জীবনভিত্তিক মিউজিক্যাল থিয়েটার করার কথা মাথায় আসে। এ কথা সানফ্রান্সিসকোর বে অঞ্চলের ডালিয়া চ্যাটার্জি সেন জানতে পেরে এই প্রযোজনাটা ভাবেন। অনিন্দ্য চক্রবর্তী নাটকটি পরিচালনা করেন। এই প্রযোজনা আরও বড় করে কলকাতা ও অন্যান্য শহরে পরিবেশন করব। সম্ভবত এদেশে এটাই প্রথম সলিল চৌধুরীর জীবন ভিত্তিক কোনও মিউজিক্যাল থিয়েটার।’
নাটকটি নির্দেশনা করেছেন অনিন্দ্য চক্রবর্তী। গানের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন এবং তাঁর দল। নৃত্য পরিচালনা করেন চান্দ্রেয়ী মুখার্জি, শিঞ্জিনী গুপ্ত, ডালিয়া সেন। মঞ্চে জীবন্ত চরিত্র হয়ে উঠে এসেছেন সলিল চৌধুরী, লতা মঙ্গেশকর, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। সলিল চৌধুরীর ভূমিকায় নজর কাড়েন সব্যসাচী বসু, অন্যান্য চরিত্র যেমন ঝড়ুয়ার ভূমিকায় সায়নী রায়, লতা মঙ্গেশকরের চরিত্রে চান্দ্রেয়ী মুখার্জি, রাজ কাপুর ও চ্যাপলিনের ভূমিকায় পিনাকী মুখার্জি, ছবি বিশ্বাসের ভূমিকায় অনির্বাণ মাইতি, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকায় অনিরুদ্ধ ব্যানার্জি, বিমল রায়ের ভূমিকায় সৌমেন ঘোষ।