ড্রোন দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা ফেলা হচ্ছে এই দ্বীপে, ভরে যাচ্ছে চারপাশ! মতলবটা কী?

ড্রোনের সাহায্যে কাতারে কাতারে মশা ফেলা হচ্ছে দ্বীপের মধ্যে। চারপাশে মশার ভিড়ে রীতিমতো টেঁকা দায় হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কেন এটা করা হচ্ছে?

সাধ করে কে আর মশার কামড় খেতে চায়। মশার উপদ্রবে অনেক সময় টেঁকা দায় হয়ে পড়ে। সেই মশাই ড্রোনে করে ঝাঁকে ঝাঁকে ফেলা হচ্ছে হাওয়াই দ্বীপে। কেন? বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, হাওয়াই দ্বীপের একটি বিশেষ প্রজাতির পাখিকে রক্ষা করতেই এই উদ্যোগ।

মশা দিয়ে পাখি বাঁচানো?

মশা দিয়ে পাখি বাঁচানো কীভাবে সম্ভব? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, যেসব মশাগুলি ড্রোনের মাধ্যমে হাওয়াই দ্বীপে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেগুলি ল্যাবে তৈরি করা পুরুষ মশা। এই মশাগুলি কামড়ায় না। কামড়ায় স্ত্রী মশা। বিজ্ঞানীদের কথায়, পুরুষ মশাগুলি ওই স্ত্রী মশাগুলির উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে। ফলে পুরুষ মশার সংখ্যা বাড়লে আদতে মশার সংখ্যা কমবে বলেই দাবি গবেষকদের। কিন্তু মশা পাখিদের ঠিক কী ক্ষতি করছে?

পাখিদের কী ক্ষতি করছে মশা?

গবেষকদের কথায় হাওয়াই দ্বীপের অন্যতম সম্পদ হল সংবার্ড। এই সংবার্ডের সংখ্যা কমে যাচ্ছে মশাদের কারণে। মশার কারণে পাখিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে অ্যাভিয়ান ম্যালেরিয়া। যা কাতারে কাতারে পাখির মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পরিস্থিতি এমনই যে পাখির সংখ্যা অনেকটাই কমে এসেছে। রীতিমতো বিপন্ন তকমা পেয়েছে হাওয়াই দ্বীপের এই ঐতিহ্যশালী সম্পদ। তাই পাখির সংখ্যা পুনরায় স্বাভাবিক স্তরে ফিরিয়ে আনতে মশার সাহায্য নিচ্ছেন গবেষকরা।

বিষে বিষে বিষক্ষয়

মূলত বিষে বিষে বিষক্ষয় করারই পরিকল্পনা করেছেন গবেষকরা। পুরুষ মশাগুলি স্ত্রী মশাগুলির সঙ্গে মিলিত হলে তাদের ম্যালেরিয়া ছড়ানোর ক্ষমতা অনেকটাই কমে যাবে। যার ফলে স্ত্রী মশাগুলি আর ম্যালেরিয়ার ভেক্টর হিসেবে কাজ করতে পারবে না। এই পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়েই হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের ঐতিহ্যশালী পক্ষীকূলকে রক্ষার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।