জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং সুস্থ যৌনসম্পর্কের ক্ষেত্রে কন্ডোম অতি প্রয়োজনীয় একটি সামগ্রী। কিন্তু এহেন সামগ্রীই ডেকে আনছে ক্যানসারের মতো রোগ। আর তাতেই আতঙ্কিত বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি অতি জনপ্রিয় এক কন্ডোম কোম্পানির প্রোডাক্টে পাওয়া গেল এমনই এক রাসায়নিকের খোঁজ।
ট্রোজান নামক কোম্পানিটি আমেরিকার অত্যন্ত জনপ্রিয় কন্ডোম নির্মাতা। স্বঘোষিত ভাবে তারা আমোরিকার এক নম্বর কন্ডোম উৎপাদনকারী সংস্থা। এহেন ট্রোজানের কন্ডোমেই পাওয়া গেল ক্যানসার ঘটাতে পারে এমন রাসায়নিকের সন্ধান। Perfluoroalkyl এবং Polyfluoroalkyl substances (PFAS) নামক রাসায়নিক রয়েছে এই কন্ডোমে। এমনই টের পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আর তাতেই রীতিমতো আশঙ্কায় তাঁরা।
(আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যকর হলেও এই ৫ খাবার বাড়িয়ে দেয় ওজন, মেপে মেপে খান এগুলি)
এই দুই রাসায়নিকই মানুষের শরীরের জন্য মারাত্মক খারাপ। এই দু’টিই ক্যানসারের অন্যতম বড় কারণ হয়ে উঠতে পারে। যাঁরা এই কোম্পানির কন্ডোম ব্যবহার করছেন, তাঁদের অনেকেরই ক্যানসারের ঝুঁকি বহু গুণ বেড়ে যেতে পারে বলে অভিযোগ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
(আরও পড়ুন: স্ট্রেস-অনিদ্রায় চোখের নিচে পুরু কালি? মেকআপেই আড়াল করুন সমস্যা, মাথায় রাখুন এই টিপস)
প্লেইনটিফ ম্যাথিউ গুডম্যানের নামের এক বিজ্ঞানী এই বিষয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। এবং তিনিই কন্ডোমে ক্ষতিকারক রাসায়নিকের সন্ধান পেয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, এই বিশেষ ব্র্যান্ডের কন্ডোমে যে এই উপাদানগুলি রয়েছে, সে কথা বাক্সের কোথাও উল্লেখ নেই। নন-স্টিক এবং ওয়াটার প্রুফ সামগ্রীর ক্ষেত্রে এই ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। ফ্লুরিনের এই বিশেষ উপাদান মানুষের শরীরের জন্য মারাত্মক ভাবে ক্ষতিকারক। ফলে এ সম্পর্কে গোপন রেখে সেগুলি মানুষের শরীরের সংস্পর্শে নিয়ে যাওয়াটা মারাত্মক অপরাধ। আর সেই কারণেই আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
(আরও পড়ুন: আপনি কী গর্ভবতী? স্ত্রীরোগ সচেতনতা দিবসে জানুন গর্ভাবস্থায় ভালো থাকার উপায়)
গুডম্যানের গবেষণাগারে এই নিয়ে বিস্তারে পরীক্ষা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, ট্রোজানের মূলত আলট্রা থিন বা একদম পাতলা কন্ডোমে এই জাতীয় উপাদান বেশি করে মেশানো হয়েছে। সেগুলি সবচেয়ে মাত্রায় ক্ষতিকারক। এই সব তথ্যের উপর দাঁড়িয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। সব মিলিয়ে ৫ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে ট্রোজানের থেকে।
সব মিলিয়ে মার্কিন মুলুকে কন্ডোম নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে যেহেতু ট্রোজানের মতো জনপ্রিয় কোম্পানির প্রোডাক্ট যখন অভিযোগের সামনে পড়েছে, সাধারণ মানুষ তাই বেশি মাত্রায় আতঙ্কে।