এখনও চৈত্র সেলে নববর্ষের নতুন জামা কেনার পালা শেষ হয়নি বাঙালির! তবে তারই মাঝে পুজোর কেনাকাটা ধীরে ধীরে উস্কানি পেতে শুরু করেছে। ভরা বসন্তে, শরতের সুর ধ্বনিত হচ্ছে চারিদিকে। চৈত্রের তীব্র দাবদাহের মাঝেই শহর কলকাতার বুকে পড়তে শুরু করেছে দুর্গাপুজোর পোস্টার। সামনেই অন্নপূর্ণা পুজো। দুর্গা পুজো আসতে এখনও সাত মাসের অপেক্ষা বাকি। তবে, প্রাণের উৎসবের জন্য ধৈর্য ধরতে পারাটা যে বাঙালির কাছে কতটা চ্যালেঞ্জের, তা কলকাতার রাস্তায় বারোয়ারি পুজোর পোস্টার দেখলেই বোঝা যাচ্ছে।
দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই পোস্টার পড়তে দেখা যাচ্ছে হাজরা পার্ক দুর্গোৎসবের। এবার এই পুজো পা দিচ্ছে ৮০ বছরে। পোস্টারে লেখা রয়েছে 'আশিতেছে', বিশেষভাবে 'শ'কে হাইলাইট করে পোস্টার জানান দিচ্ছে হাজরা পার্ক ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে নামতে শুরু করেছে তাদের পুজোর আয়োজনে। এই পুজোর বিশেষ উপদেষ্টা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই উদ্যোক্তারা পুজোর থিম নির্বাচন করে নিয়েছেন। শিল্পী কৃষাণু পাল সেই অনুযায়ী নিজের মতো করে এগিয়ে যাচ্ছেন। জানা গিয়েছে, মে মাসেই এই পুজোর খুঁটি পুজো হয়ে যাবে।
গত ২ বছর কার্যত কোভিডের কড়া বিধির জেরে গোটা দুনিয়ার সঙ্গে চেনা ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিল শহর কলকাতাও। ২০২২ সালে কোভিড সতর্কতা সঙ্গে নিয়েই এবার পুজোর আনন্দে মেতে ওঠার পালা। হাজরা পার্কের পুজোর পোস্টার যখন শহরের আনাচকানাচে দেখা যাচ্ছে, তখন পিছিয়ে নেই একডালিয়া এভারগ্রিন। সেখানের প্রতীমা নিয়ে সনাতন রুদ্রপালের সঙ্গে উদ্যোক্তাদের কথা শুরু হয়েছে বলে খবর। উদ্যোক্তারা বলছেন, দুর্গাপুজো ঘিরে এবার জনগণের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা রয়েছে। তার সঙ্গে বাড়তি উৎসাহ যুগিয়েছে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি।
সব মিলিয়ে আপাতত চৈত্র থেকেই আশ্বিনের অপেক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। কাউন্টডাউনের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। এবার ক্যালেন্ডার মিলিয়ে অক্টোবরের ১ তারিখে মায়ের বোধন দিয়ে ষষ্ঠী শুরুর হওয়ার অপেক্ষায় বাঙালি। আর একাধিক পুজো উদ্যোক্তাদের এই উৎসাহ , শহরের পোস্টার পড়ার হিড়িক, সব মিলিয়ে চৈত্র সেলের বাজরে কোথাও যেন মিশে যাচ্ছে শহরতের আহ্বানের গন্ধ!