Shakrain Festival 2025 History: বাংলাদেশের পুরনো ঢাকার নিজস্ব উৎসব ছিল একসময়। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এখন গোটা ঢাকাতেই পালিত হয় সাকরাইন উৎসব। উৎসবের বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে বাড়িতে বাড়িতে শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি ঘুড়ি উড়ানো উৎসব সাকরাইন ঢাকার প্রাচীন ঐতিহ্যের একটি অঙ্গ। উৎসবের দিন ভোর থেকেই ঢাকায় এলাকার আকাশ ঘুড়ি ওয়ালাদের দখলে চলে যায়। বাতাস গমগম করে ওঠে ঘুড়ি কাটার শব্দে ‘বাকাট্টা বাকাট্টা…’। কীভাবে শুরু এই সাকরাইন উৎসবের? কী বলছে ঢাকার প্রাচীন ইতিহাস?
আরও পড়ুন - পেয়ারা পাতার গুণেই মাথায় গজাবে ঝাঁক ঝাঁক চুল, কীভাবে ব্যবহার করবেন
ঢাকার আকাশ ঘুড়ির দখলে
মঙ্গলবার ঢাকা জুড়ে এই উৎসব পালনের দৃশ্য দেখা গেল। রঙবেরঙের নানা ঘুড়ি আকাশ দখল করে রাখে। প্রতিযোগিতার পালা চলতে থাকে গোটা ঢাকা জুড়েই। প্রসঙ্গত, ঘুড়ি ওড়ানোর এই উৎসবের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে পিঠে পুলি বানানোর প্রাচীন ঐতিহ্য। ঢাকার বাড়িতে বাড়িতে পড়ে যায় পিঠে পুলি তৈরির ধুম। সেই সঙ্গে চলে গানবাজনা। পাশাপাশি আলো দিয়ে কেউ কেউ গোটা চত্ত্বর সাজিয়ে তোলেন। তবে আয়োজনটি আগে পুরনো ঢাকাতে হলেও বর্তমানে অন্যান্য এলাকার বাসিন্দারাও এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ফলে পুরনো ঢাকার ভিড় আরও বেড়ে যায় এই দিন। মঙ্গলবার সেই দৃশ্যই দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের ঢাকা জুড়ে।
আরও পড়ুন - স্ট্রবেরি খান? খাওয়ার আগে এই কাজটি না করলে শরীরের বিপদ
কীভাবে পাল্টে গিয়েছে উৎসব?
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য পাল্টে যাচ্ছে উৎসবের দৃশ্য। যা নিয়ে ঢাকার মানুষজনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কারও কাছে এই পাল্টে যাওয়া চিত্র বেশ দুঃখজনক, আবার কারও কারও কাছে উৎসবের আমেজ বেশ আকর্ষণীয় বলেই মনে হয়েছে। স্থানীয়দের মতে, বেশ প্রাচীন উৎসব বলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নানা পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। যেমন এখন খুব বেশি পরিমাণে নাচ-গানের উৎসব দেখা যায়। আগেকার দিনে এসবের চল ছিল না। বস্তুত সাকরাইন উৎসব বলতে এসব বোঝায় না কখনই। তবু, উৎসবের আমেজের অঙ্গ হিসেবেই এগুলির আমদানি হয়েছে। অন্যদিকে আলোয় আলোয় সেজে ওঠে ঢাকার বিভিন্ন অংশ। এই বিষয়টিও হালের ফ্যাশন বলেই জানাচ্ছেন অনেকে।