Shakrain Festival 2025: বাংলাদেশের পুরনোঢাকার একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব সাকরাইন উৎসব। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই উৎসবের আমেজেও বদল এসেছে। বদলে গিয়েছে উৎসবের চরিত্রও। আগে পারিবারিক স্তরেই অনুষ্ঠিত হত এই উৎসব। কিন্তু সময় যত আধুনিক হয়েছে, তত পরিবারের উৎসব হয়ে উঠেছে এলাকার। এলাকার উৎসব আয়োজনে স্বাভাবিকভাবেই খরচ বেশি লাগে। পাশাপাশি পরিবারের উৎসবের তুলনায় এলাকায় আয়োজিত উৎসবের চরিত্রও কিছু আলাদা হয়। সাকরাইন উৎসবে এখন তাঁর ছোয়া।
আরও পড়ুন - সাকরাইন উৎসবের মেজাজে গমগম করছে ঢাকা, ঘুড়িওয়ালাদের দখলে আকাশ
নাচগান-ডিজে, সাকরাইনের নয়া সংস্কৃতি
আগে পরিবারের মধ্যে এই ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসব আয়োজিত হত বলে নাচগান ডিজের তেমন চল ছিল না। বরং চল ছিল পিঠে পুলি বানানোর। কিন্তু এখন পিঠে পুলি বানানোর রেওয়াজ থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় বেড়েছে জাঁকজমক। এলাকাভিত্তিক উৎসব বলে এখন ডিজে বাজানো হয়ে থাকে। নাচগান, ডিজে বাজানোর তো খরচ রয়েছে। সেই খরচ অবশ্য পরিবার থেকে চাঁদা তুলেই মেটানো হয়ে থাকে।
উৎসবের প্রস্তুতিতে এসেছে বদল
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের মনেই আক্ষেপ। কারণ আগে উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যেত বেশ কিছু মাস আগে থেকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাতেও বদল এসে গিয়েছে। এখন মানুষ রেডিমেড ঘুড়ি কেনে বেশি। ফলে কয়েক মাস আগে থেকে বাড়িতে বাড়িতে ঘুড়ি বানানোর সেই চল ওঠার মুখে। ঘুড়ি বানানো থেকে মাঞ্জা দেওয়ার মধ্যে আলাদাই সুখ ছিল বলে জানাচ্ছেন ঢাকার পুরনো প্রবীণ বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন - পেয়ারা পাতার গুণেই মাথায় গজাবে ঝাঁক ঝাঁক চুল, কীভাবে ব্যবহার করবেন
ডিজিটাল হয়েছে উৎসব
ইন্টারনেটের ছোঁয়া এখন সর্বত্র। এর থেকে মুক্তি পায়নি ঢাকার সাকরাইন উৎসবও। প্রবীণ এক বাসিন্দা যেমন সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, আগে এই দিনটার জন্য অনেকেই মুখিয়ে বসে থাকত। কারণ তখন বিনোদনের এত মাধ্যম ছিল না। কিন্তু বর্তমানে সেই উন্মাদনায় অভিমুখ যেন পাল্টে গিয়েছে। অনেকটা ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে উৎসব। মোবাইল, টিভির যুগে উৎসবের চালচিত্র বদলে গিয়েছে। পরিবারের ঘেরাটোপ ছেড়ে পৌঁছে গিয়েছে এলাকার পরিসরে। কিন্তু তারপরেও বাড়েনি উন্মাদনা। যেমনটা আগে ছিল, তেমনটা আর দেখা যায় না।