আশ্বিন মাস পার হয়ে গেলেও, এখনও কিন্তু বাজারে রয়েছে শাপলার ডাঁটা। দুই বাংলা জুড়ে আশ্বিন মাসের শুরুতেই নানান জলাশয়ে শাপলা ফুটে থাকতে দেখা যায়। সাদা, আর গোলপি রঙের এই ফুল অনেকেই বেসন দিয়ে ভেজে বড়া করে খান। তবে শাপলার ডাঁটা দিয়ে হয়ে থাকে নানান পদ। আর এই শাপলার ডাঁটার খাদ্যগুণ বহু। শরীরের নানান সমস্যায় এই শাপলার ডাঁটার উপকারিতা বহু।
হজম
বলা হচ্ছে, শাপলার মধ্যে বহুল পরিমাণে থাকে ফাইবার। আর এই ফাইবারের জন্যই শাপলা হজম ভালো করতে সাহায্য করে। অপরিপাকজনিত সমস্যা থাকলেও, তা মিটে যেতে সাহায্য করে এই শাপলা। এছাড়াও আমাশা রোগে খুবই উপকারী এই শাপলা। হজমের গোলমাল কিন্বা পেট ফাঁপায় সাহায্য করে।
শরীর ঠান্ডা রাখে
বলা হয়, শাপলা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এটি অতিরিক্ত তেষ্টা দূর করতে সাহায্য় করে। এছাড়াও হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিক রাখতেও শাপলা সাহায্য করে। শাপলার ডাঁটা শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি যোগায়। শরীরে কোষ গঠন বা ক্ষয় পূরণের ক্ষেত্রেও শাপলার ডাঁটা কার্যকরী বলে মনে করেন অনেকেই। শাপলা ত্বকের জন্যও উপকারি বলে মনে করা হয়। রক্তাল্পতার সমস্যা দূর করতেও শাপলা কার্যকরী বলে মনে করা হয়।
ডায়াবেটিসে উপকারি
একাধিক খাদ্য গুণ সম্পন্ন এই শাপলা ডায়াবেটিসের জন্য খুবই উপকারি। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে শাপলা ফুলও উপকারি বলে মনে করা হয়। এছাড়াও প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া নিয়ন্ত্রণেও এই ফুল দারুন উপকারি।
শাপলা কীভাবে রান্না করবেন?
শাপলার ফুল দিয়ে যদি বড়া রান্না করতে চান, তাহলে শাপলার ডাঁটা থেকে ফুল আলাদা করুন। ফুলের ভিতরের রেণু ছিঁড়ে নিন। ফুলের বৃতি সহ গোটা ফুলটিতে বেসনের একটি মিশ্রণ তৈরি করে তাতে ডুবিয়ে কড়াইতে তেল ঢেলে ভেজে নিন। বেসনের মিশ্রণে রাখতে হবে নুন, যদি চান তাহলে চিনি দিতে পারেন, নয়তো, হলুদ, কালোজিরে, লঙ্কা বাটা দিতে হবে।
এছাড়াও যদি শাপলা ডাঁটা রান্না করতে চান, তাহলে আগেই ফুল কেটে নিয়ে ডাঁটার আঁশ ছাড়াতে হবে। তারপর কড়াইতে সরষের তেল, কালোজিরে, কাঁচা লঙ্কা ফোঁড়ন দিতে হবে। এরপর আঁশ ছাড়ানো ডাঁটা কেটে ফেলে দিন। সামান্য নুন দিন। অন্যদিকে, বেটে নিন সরষে পোস্ত। শাপলা একদিকে কড়াইতে ভাজুন। আর শেষে সরষে পোস্ত বাটা দিয়ে দিন।