গরমের ছুটি পড়ছে। অনেক স্কুলেই পরীক্ষার রেজাল্ট বেরিয়ে গিয়েছে। এখন স্বাভাবিকভাবেই মনটা দার্জিিলিং-দার্জিলিং করছে। সেই সবুজ পাহাড়, সেই মেঘেদের ভেসে বেড়ানো এসব দেখতে দেখতে কখন যে সময় কেটে যায় তা বোঝাই যায় না। তবে এবার যদি দার্জিলিং যান তবে মিরিকটা মিস করবেন না। অনেকে আবার এতবার মিরিক গিয়েছেন যে আর নতুন করে যেতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু এবার একেবারে অন্য মিরিক। বলা ভালো দার্জিলিংয়ের মধ্যেই এক টুকরো কাশ্মীর।
আসলে এবারও মিরিকের লেকে থাকছে শিকারা। মিরিকের সুমেন্দু লেকে এবারও ভাসানো হল শিকারা। আর সেই শিকারা চড়ার জন্য একেবারে উপচে উঠছে ভিড়। দিনের বেশিরভাগ সময়ই সেই শিকারা চড়ার জন্য লম্বা লাইন পড়ে যাচ্ছে। চারপাশে পাহাড়। পাইন বনের সারি। আর তার মাঝে মিরিকের লেক। স্বচ্ছ জল। এখানে একদিকে যেমন প্যাডেল বোটের ব্যবস্থা রয়েছে। তেমনি এখানে শিকারাতেও চড়তে পারেন। যারা ছবি তুলতে ভালোবাসেন তাদের জন্য একেবারে দারুন ব্যাপার।
তাছাড়া অত টাকা খরচ করে কাশ্মীর যাওয়ার শখ হয়তো সকলের পূরণ হয় না। সেসব ভাগ্যের ব্যাপার। সেক্ষেত্রে আপনি চলেই আসতে পারেন মিরিকে। দার্জিলিং থেকে ফেরার পথে মিরিক হয়ে ফিরতে পারেন। সেক্ষেত্রে এখানে একদিন কাটিয়ে দিতে পারেন। বাচ্চাদের খুব ভালো লাগবে।
জিটিএর উদ্যোগে এই শিকারা ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তবে যেভাবে মিরিকের লেকে শিকার চড়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়েছে তাতে জিটিএর তরফে এনিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। ভাবা হচ্ছে যাতে আগামী দিনে এই শিকারার সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায়।
আপাতত এখানে দুটি শিকারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে আগামীদিনে আরও শিকারার ব্যবস্থা করা হতে পারে। পর্যটন দফতরও এব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। বর্তমানে এই শিকারাদুটির বুকিং চলছে দিনভর। প্রায় কোনও সময়ই এই শিকারা ফাঁকা থাকছে না।
এবার প্রশ্ন এই শিকারা চাপতে কত টাকা খরচ হবে? মাথাপিছু এই শিকারা চড়ার জন্য ২০০ টাকা করে খরচ ধরা হয়েছে। কিন্তু তাতেও পিছিয়ে আসতে রাজি নন পর্যটকরা। কারণ মিরিক আসবেন আর শিকারা চড়বেন না সেটা কখনও হয়।
আসলে মিরিক মানেই মিরিক লেক, ঘোড়ায় চড়ে লেকের ধারে ছবি তোলা আর নৌকাবিহার। কিন্তু সেই লেকেই এবার নয়া আকর্ষণ শিকারা। তাতেই উপচে উঠছে পর্যটকদের ভিড়।