বর্তমান সময়ে অনেকেই এসি ব্যবহার করেন। উচ্চবিত্ত তো বটেই এখন মধ্যবিত্তও হাতের নাগালে এসির ঠাণ্ডা হাওয়া। পাশাপাশি গরম এতটাই তীব্র যে এসি বা কুলার ছাড়া থাকাও বেশ মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বাড়িতে বৃদ্ধ, সদ্যজাত শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক সবাইকেই এসি-তে ঘুমাচ্ছেন। আপনার বাড়ির সদ্যজাতটিও কি এসিতে ঘুমায়? তাহলে কতকগুলি বিষয়ে হতে হবে সতর্ক। শিশুকে এসি-তে ঘুম পাড়ানোর আগে মাথায় রাখতে হবে এইসব নিয়ম।
সদ্যজাত শিশুকে এসি-তে ঘুম পাড়ানোর আগে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন
১. এমন নয় যে আপনি এসি-তে ছোট বাচ্চা বা সদ্যজাত শিশুদের ঘুম পাড়াতে পারবেন না। এটি স্বাভাবিক, তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যাতে তার ঠাণ্ডা না লেগে যায়। পাশাপাশি শীত লাগার কারণেও অনেক সময় তার ঘুমের সমস্যা হতে পারে। আর ঘুমের অভাবে সে সারাদিন ঘ্যান ঘ্যান করতে পারে।
আরও পড়ুন: আমলকিতেই কমবে ওজন, লম্বা হবে চুল! দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও
২: এসির তাপমাত্রার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী তাপমাত্রা সেট নয় বরং শিশুর জন্য যা সঠিক সেটাই রাখুন। যেমন ১৯ ডিগ্রি শিশুদের জন্য সঠিক নয়, এতে তারা খুব বেশি ঠান্ডা অনুভব করে। এত কম তাপমাত্রা শিশুর জন্য ভালো নয়। এসির তাপমাত্রা মোটামুটি ২৩ থেকে ২৫-এর মধ্যে রাখা উচিত। গরম লাগলে মাঝখানে কিছুটা কমিয়ে আবার বাড়িয়ে দিন।
৩. একটি হালকা কম্বল বা চাদর দিয়ে শিশুকে সঠিকভাবে ঢেকে ঘুমাতে দিন। কিছু অভিভাবক, গরমের ভয়ে তাদের বাচ্চাদের চাদর ছাড়াই ঘুমাতে দেয়। এটা করবেন না। শিশুরা শীঘ্রই সর্দি, কাশি ও কফের সমস্যায় ভুগতে পারে।
আরও পড়ুন: এই ৫ খাবারেই কিডনি থাকবে সুস্থ! রক্ত হবে পরিষ্কার
৪. শিশুকে কখনই এমন জায়গায় ঘুমাতে দেবেন না যেখানে এসি থেকে সরাসরি হাওয়া আসে। তাকে বিছানার একপাশে ঘুমাতে দিন। মাঝে শোয়াবেন না, এখানে বেশি এসির হাওয়া আসে। ঠাণ্ডা বাতাস যেন তার মুখে, পায়ের পাতায় ও মাথায় না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন। মাথায় বাতাসের কারণে শিশুর মাথা ব্যথা হতে পারে।
৫. শিশুদের চামড়া খুব সূক্ষ্ম হয়। আপনি যদি তাকে রাতে ৬-৭ ঘন্টা এসিতে ঘুমাতে দেন তবে তার ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। আর্দ্রতা হারিয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তেল বা ময়েশ্চারাইজার, বেবি লোশন লাগাতে পারেন। সর্ষের তেল বুক, পেট ও পিঠে লাগাতে পারেন। এটি তাদের উষ্ণ রাখবে।
৬. প্রতি সপ্তাহে এসি পরিষ্কার করতে থাকুন। কারণ এসিতে দ্রুত ধুলো-ময়লা জমতে থাকে এবং বাতাসের মাধ্যমে ঘরে ছড়িয়েও পড়ে। এতে শিশুর অ্যালার্জি হতে পারে, যখন সে শ্বাস নেয় তখন ধুলোর কণা তার নাকে ও মুখে প্রবেশ করতে পারে।