সর্দি কাশি সারাতে ছোটবেলা থেকেই বহু মা তাঁর সন্তানকে মধু তুলসীপাতার অভ্যাস করিয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, মধুতে রয়েছে একাধিক উপযোগিতা। রয়েছে বহু পুষ্টিগুণ। এক চামচ মধুতে রয়েছে ৬০ ক্যালোরি। বলছেন নিউট্রিশিয়ানিস্ট অঞ্জলি মুখোপাধ্যায়। স্বাস্থ্য আরও ভাল রাখতে, অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে মধুর একাধিক উপযোগিতা রয়েছে। তবে এই মধুই অপকারী হতে পারে অনেকের ক্ষেত্রে। মধু কাদের সেবন করা উচিত নয়, তা দেখে নেওয়া যাক।
ব্লাড সুগারের সমস্যা থাকলে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধুতে চিনির পরিমাণ না থাকলেও, এই প্রাকৃতিক মিষ্টি স্বাদের বস্তু ব্লাড সুগার বাড়িয়ে দিতে সক্ষম। যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁদের এটি সতর্কভাবে খাওয়া উচিত। আরও পড়ুন-মশকরার ছলে কাউকে অপমান, চেহারা নিয়ে মজা করা বন্ধ করতে নয়া উদ্যোগ স্কুল স্তর থেকে
ওজন কমাতে চাইলে...
ওজন কমাতে চাইলে সকালে উঠে গরম জলে মধু ও লেবুর কথা অনেকেই বলেন। তবে নিউট্রিশিয়ানিস্টরা বলছেন, ওজন কমাতে চাইলে মধু খাওয়া উচিত নয়। এতে বাড়তে থাকে দৈনিক ক্যালোরি। বলা হচ্ছে, মধু খেলে ওজন কমানোর গতি রুদ্ধ হবে। আরও পড়ুন-গরমে কি খিটখিটে হয়ে যাচ্ছেন আরও! রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ডায়েট কার্যকরী
ব্লাড প্রেশার
যাঁদের ব্লাড প্রেশার বা সুগারের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে মধু বেশি সেবন করলে হাইপোটেনশনের সমস্যা বাড়তে থাকে।
মুখ গহ্বারের স্বাস্থ্য যাঁদের খারাপ
মধু বেশি খেলে মুখের ভিতরের অংশের স্বাস্থ্যে তার প্রভাব পড়ে। এতে দাঁতের ক্ষতি হয়। খুব অল্প বয়সেই দাঁত পড়ার সমস্যা তৈরি হয়।
পেটব্যথা
অনেকের মধু বেশি খেলে পেটব্যথার সমস্যা তৈরি হয়। বিশেষত যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।