চা খেতে অল্প বিস্তর অনেকেই ভালোবাসেন। সকালে হোক বা বিকেলে, কাজ করতে করতে মাথা ধরা হোক বা আড্ডা সব সময়ের সঙ্গী চা। জলের পরে যদি বেশির ভাগ মানুষ কিছু পান করে থাকে তা হল চা। গ্রীষ্মের এই প্রবল দাবদাহেও মানুষ চা খাওয়া থেকে বিরত থাকেনি। যদিও বিশেষজ্ঞরা সব সময়ই এই বিষয়ে সতর্কতা জারি করে এসেছেন। কিন্তু চা প্রেমী মানুষেরা তাও চা ছাড়তে পারেনি। অতিরিক্ত পরিমাণে দুধ এবং চিনি দিয়ে চা খেলে তাঁর থেকে অম্বল হয়ে যায়, পাশাপাশি বাড়ে ডায়াবেটিস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি। তাই এই সব বিষয় মাথায় রেখে অনেকেই দুধ-চিনি দিয়ে চায়ের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসাবে বেছে নেন লিকার চা। অনেকে আবার এর সঙ্গে মেশান লেবুও। কিন্তু লেবু চা কি আদেও স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ?
লেবু ভিটামিন সি-এর ভালো একটি উৎস। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কিন্তু চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ভালোর পরিবর্তে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: মাছ, ডিম, মাংস থেকে দূরে থাকেন? শরীরে প্রোটিনের অভাব দূর করতে খান এই খাবারগুলি
শরীরে জলের ঘাটতি হয়: এই প্রবল গরমে সকলেই প্রায় অল্প বিস্তর ডিডাইড্রেশনের সমস্যায় ভোগেন। ঘাম ও প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায়। তাঁর মধ্যে যদি অধিক মাত্রায় লেবু চা খাওয়া হয় তবে তা মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে। বার বার প্রস্রাবের ফলে শরীর আরও বেশি করে ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে।
দাঁতের ক্ষয়: নিয়মিত লেবু চা খেলে দাঁতে এনামেল ক্ষয়ের লক্ষণ দেখা যায়। লেবু চা খাওয়ার পরই তাই ভালো করে কুলকুচি করে নিতে হবে না হলে দাঁতের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে।
আরও পড়ুন: একটু হাসুন, হাসলে দিন ভালো কাটে! সকাল সকাল পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস, থাকুন আনন্দে
অম্বলের সমস্যা: অতিরিক্ত লেবু চা খেলে বুক জ্বালা, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এমনকি বমিও হতে পারে। অন্ত্রের পিএইচের মাত্রার পরিবর্তন হয়, ফলে গ্যাস, পেট ব্যথা, ডায়ারিয়া এমনকি গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
অ্যালঝাইমার ঝুঁকি বাড়ে: দীর্ঘদিন ধরে লেবু চা পানের অভ্যাস থাকলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তা অ্যালঝাইমার রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে চাইলে লেবু চা পানের পরিমাণ কমাতে হবে।
অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি: লেবু চা মাত্রাতিরিক্ত খেলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম বেরিয়ে যায়। ক্যলসিয়ামের অভাবে অস্টিওপরোসিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।