বেশ কয়েক বছর ধরে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার। ওজন কমানো থেকে সুগার, পেটের জমে থাকা মেদ কমানো, একাধিক রোগের দাওয়াই এটি। শুধু শরীর নয় ত্বক ও চুলের যত্নেও কার্যকরী এই উপাদানটি। বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া শুরু করলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে শর্করার মাত্রা প্রায় ৩১ শতাংশ কমে যায়। যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তারা যদি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ২৫০ মিলি জলে ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খান, তাহলে উপকার পাবেন। সকালে খালি পেটে শরীরচর্চার আগেও খেতে পারেন। তবে, এটির উপকারিতা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে অপকারিতাও। চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক এটির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কী-
বেশি পরিমাণে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খেলে দাঁত, ইসোফেগাস ও স্টমাক লাইনিং এর ক্ষতি হতে পারে। সেইসঙ্গে শরীরের পটাশিয়াম লেভেল কমে যাওয়া, ডায়রিয়া, বদহজম এবং হাড়ের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পাশাপাশি কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে তবেই গ্রহণ করুন আপেল সিডার ভিনেগার।
অনেকে সকালে উঠেই খালি পেটে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খান ওজন কমানোর জন্য। কিন্তু তারপর দীর্ঘক্ষণ অভুক্ত থাকেন। এটি করলে চলবে না। ঠিক খাবার খাওয়ার ২০ মিনিট আগে খেতে হবে এটি। তাহলে হজমশক্তিও বাড়বে এবং শরীরও ভালো থাকবে।
কখনোই অ্যাপেল সিডার ভিনেগার জল ছাড়া খাবেন না। হালকা গরম জলে মিশিয়ে খান। সেইসঙ্গে মেশাতে পারেন দারুচিনির গুঁড়ো ও লেবুর রস।
অনেকেই ভাবেন অ্যাপেল সিডার ভিনেগার বেশি খেলেই ওজম দ্রুত কমবে। তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। দিনে একবার ২৫০ মিলি জলে ১-২ টেবিল চামচ এটি মিশিয়ে নিন খান। একটানা দু'মাস খেলে ১৫ দিন বন্ধ রাখুন।
সরাসরি গ্লাস থেকে এটি জলের সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে তা দাঁতের সংস্পর্শে আসে। ও দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে গিয়ে দাঁত ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। তাই অনেকেই স্ট্র দিয়ে সরাসরি অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের জল খাওয়ার কথা বলে থাকেন।