সংসার করার পরিবর্তে কেরিয়ারের দিকে বেশি ফোকাস করছেন মহিলারা। বেশিরভাগ মহিলাদের জন্যই বিবাহিত জীবন এখন আর একমাত্র কাম্য নয়। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা, স্বাধীন জীবনযাপন করা, নিজের স্বপ্ন পূরণ করাই তখন মহিলাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই লক্ষ্য নতুন এই প্রজন্মকে অন্য দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে। এমনকি ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশ মহিলাই অবিবাহিত থাকবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: (Durga Puja: উৎসবে কি ফিরছেন বাঙালিরা? দুর্গাপুজোর এক মাস আগে কী বলছেন পোশাক বিক্রেতারা)
সম্প্রতি, মরগান স্ট্যানলি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই সমস্ত তথ্য। সাম্প্রতিক এই সমীক্ষা অনুসারে, ২০৩০ সালের মধ্যে, ২৫ বছর থেকে ৪৪ বছর বয়সী প্রায় ৪৫ শতাংশ মহিলাই নিঃসন্তান এবং অবিবাহিত হয়ে জীবন কাটাবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর আগেও মেয়েরা একা থেকেছেন। কিন্তু সেই সংখ্যা ছিল অনেকাংশে কম।
মেয়েরা কেন অবিবাহিত থাকতে চাইছেন
আগের প্রজন্মের মহিলাদের ক্ষেত্রে, বিয়ে করা ছিল সাধারণ একটি ব্যাপার। বিয়ের বয়স হলে বিয়ের স্বপ্ন দেখতেন মেয়েরা। শ্বশুরবাড়ি গিয়ে সংসার সামলাতেন। কিন্তু এখন বিষয়টা পুরো উল্টো। মেয়েরা এই মুহূর্তে নিজেদের সমৃদ্ধির দিকেই ঝুঁকছেন। তার কারণ একটাই, অবিবাহিত স্ট্যাটাসটি মেয়েদের জন্য এখন আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। এর প্রবণতা এতটাই বাড়ছে যে অনেক মহিলারাই বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর, পুনরায় বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ৩০-৪০ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে আবার ডিভোর্স দেওয়ার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে।
মা হতেও এখন দু' বার ভাবছেন মেয়েরা
অতীতে, মহিলারা ২০ বছরে পড়তে না পড়তেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতেন। মা হওয়ার প্রবণতা দেখা যেত তাঁদের মধ্যে। কিন্তু এখন, মহিলারা সন্তান ধারণের বিষয়ে দু' বার ভাবছেন। আদৌ মা হতে চান কিনা, সে বিষয়টা পুনর্বিবেচনা করছেন। তাঁরা মূলত, মা হওয়ার আগে পরিবার সামলানোর চাপ, কেরিয়ারে আর সুযোগ আসবে কিনা এবং বাচ্চাদের লালন-পালন করতে বিপুল খরচ হবে, এই সম্পর্কে চিন্তা করছেন। আজ, অধিকাংশ মহিলাই, তাঁদের পরিবারের মাথা। আর্থিক দিকটা সামলানো তাঁদেরই দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আর্থিক স্বাধীনতার মধ্যে মহিলারা নিজেদের সুখ খুঁজে পাচ্ছেন। তাই কেরিয়ারে আরও বেশি করে মনোযোগ দিতে চাইছেন।
আরও পড়ুন: (Beauty Tips: সামনেই বিয়ে? ঝকঝকে ত্বক পেতে মেনে চলুন এই ৯টি টিপস)
মহিলাদের এই মনোভাব অর্থনীতি ও কর্মক্ষেত্রে কীভাবে প্রভাব ফেলবে
অবিবাহিত, নিঃসন্তান মহিলাদের সংখ্যা যত বাড়বে, তা অর্থনীতিতে আরও বড় প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। যে মহিলারা বিয়ে এবং সন্তান ধারণ করতে দেরি করবেন বা এড়িয়ে যাবেন, তাঁদের আর্থিক স্বচ্ছলতা বেশি থাকবে। এইভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে, বিয়ে নিয়ে এবং সন্তান ধারণ করার বিষয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হতে পারে। সন্তানের যত্নের ক্ষেত্রে, কাজের সময় কমিয়ে দেওয়া এবং নারী ও পুরুষের বেতন সমানে সমানে নিয়ে আসা, এই বিষয়গুলো আরও গুরুত্ব পেতে পারে৷ এই পরিবর্তনগুলি লিঙ্গ বৈষম্যের ব্যবধান কমাতে সাহায্য করতে পারে।