ফ্রিজে অনেক সময় রোজের অল্প অল্প ভাত জমতে জমতে তা বাসি হয়। একটা সময় তা পচে না গেলেও, তবে দেখলেই আর খেতে ইচ্ছে করো না। এমন পরিস্থিতি হলে, ভাত ফেলে দেবেন না চট করে! বাসি ভাত মুখে না দিলেও ত্বকের কাজে লাগাতে পারেন। তবে ৩-৪ দিনের বাসি ভাত না ব্যবহার করাই ভালো!
ভাতের মাড় অনেকেই ত্বকের যত্নে কাজে লাগান। তবে বাসি ভাত সোজা নিয়ে কাজে লাগাতে গেলে একটু তো টেনশনে পড়েন অনেকেই! তবে, বাসি ভাত একটি বিশেষ উপায়ে মুখে লাগালে ত্বকের জেল্লাই আলাদা হয়! এই বিশেষ পেস্টটির প্রণালী দেওয়া হল। সেটি কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তাও রইল।
ফেসপ্যাক যেভাবে তৈরি করবেন
বাসি ভাত মিক্সারে চটকে নিয়ে কিম্বা চাইলে পিষে নিন। এই নরম পেস্টে লেবুর রস আর অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। এই তিন উপাদান মিশিয়ে মুখে লাগান। খানিক পরে তা মুখে ফেলতে পারেন। তবে এই একই রকমের ফেসপ্যাক নাও ব্যবহার করতে পারেন। বাসি ভাত যদি চাল-চাল হয়ে আসে, তাহলে তাতে মধু আর মুলতানি মাটি দিয়ে দিন। তারপর সেই মিশ্রণ মুখে লাগান। এটি কিন্তু ঝটপট মেখে নেওয়ার মতো করে লাগালে হবে না। মুখে গোলাকার ভাবে এই পেস্ট লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর ত্বকে তা ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। এভাবে ১০ মিনিট পরে ওই পেস্ট তুলে নিন মুখ ধুয়ে। ত্বকে আলাদা জেল্লা এমনিতেই চোখে পড়বে। এই মিশ্রণকে প্রাকৃতিক ফেস ওয়াশ হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।
বাসি চাল, যা জলে ভেজানো হয়ে গিয়েছে….
চাল যদি বেশি পরিমাণ নিয়ে জলে ভেজানোও হয়ে যায়, তাহলেও চিন্তা নেই। এই চাল নিয়ে তা মিক্সারে পিষে নিন। তাতে দিন কফির গুঁড়ো। এই পেস্টে একটু জল নিয়ে তা স্ক্রাব করুন। পরে মুখে টমাটো ঘষে নিন। এরপর সবটা থাকবে মুখে ১৫ মিনিট। তারপর তা তুলে দিন। পরে জল দিয়ে তুলে দিন। এই প্যাক প্রতিদিন লাগাতে চাইলে, মুখে জল স্প্রে করে নিতে পারেন আগে, পরে প্যাক লাগাতে পারেন। প্যাকে জল দিতে না চাইলে, মুখে আগে জল দিয়ে পরে প্যাক ঘষে নিন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: বাসি ভাত থেকে দুর্গন্ধ ছাড়লে তা ব্যবহার করা ঠিক নয়। যদি গন্ধ থাকে সামান্যও তাহলে তা মুখে লাগাবেন না।