সকালে কাজের চাপ, কিম্বা কোনও গন্তব্যে পৌঁছনোর তাড়ায় অনেকেই ব্রেকফাস্ট না করেই দিন শুরু করেন। অনেকের আবার দেরিতে ঘুম ভাঙার সমস্যা রয়েছে, ফলে বেলা ১১ টা বা ১২ টায় উঠেই কিছু খেতে ইচ্ছে করে না। এছাড়াও সক্কাল সক্কাল অনেকে আবার ঝগড়া-মন কষাকষি করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান কিছু না খেয়েই! এর জেরে ব্রেকফাস্ট বাদ পড়ে যায় অনেকেরই। তবে জানেন কি এই ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে শরীরে কোন কোন ধরনের ক্ষতি হতে পারে?
বাড়বে ওজন-
নৈশভোজের পর থেকে সারা রাত পেটে কিছু পড়ে না। ফলে খিদে থেকেই যায়। এরপর যদি সকালে উঠে কোনও ভারী খাবার না খান, তাহলে মিষ্টি জাতীয় কিছু খেতে ইচ্ছে করবে। আর মিষ্টির ফাঁদে পড়লেই চকোলেট কিম্বা চিনি জাতীয় খাবার বেলা গড়াতেই পেটে পড়বে। ফলে ওজন বৃদ্ধি হয়ে যায় ব্রেকফাস্ট না করলে।
মাথার যন্ত্রণা, বিপি বেড়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা-
সকালে ভারী খাবার না খেলেই মাথা ঘোরার সম্ভাবনা থাকে, দুর্বলতা থেকে। শরীরে সুগার লেভেল কমে যাওয়ার ফলে হাইপো গ্লাইসেমিয়া শুরু হয়। ফলে মাথার যন্ত্রণা, মাইগ্রেন, মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দেয়।
মেটাবলিজমে ধীর গতি!
অনেকক্ষণ ধরে না খেলে ,শরীরে ক্যালোরি বার্নিংএর ক্ষমতা কমে যায়। ফলে মেদ বৃদ্ধি হতেই থাকে।
শরীরে হবে না পুষ্টি!
ব্রেকফাস্ট না করেই যদি সকাল সকাল কাজে বেরিয়ে যান, তাহলে শরীরে সঠিক পুষ্টি বাদ পড়ে যেতে পারে। ফলে শরীর নানাভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে।
ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়া
সকাল সকাল না খেলে খিদে বেড়ে যাওয়ার ফলে অনেকেরই রাগ হতে পারে। ব্লাড সুগার বেড়ে যায়। ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে তা ব্লাড সুগারে খুবই প্রভাব ফেলে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, এনার্জি কম
ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে পুষ্টি সঠিকভাবে শরীরে প্রবেশ করে না। ফলে
এনার্জি কমে যায়। বহু ঘণ্টা ধরে না খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়।
অ্যাসিডিটি- রাতের খাবারের পর সকালে উঠে কিছু না খেলে ফাঁকা পেটে অ্যাসিড হয়ে যায়। ফলে মুখে টকভাব ও খিদে না পাওয়ার সমস্যা বারবার বিব্রত করে।