একটি ৯০ ইঞ্চি মাপের স্কিপিং করার দড়ি ঢুকে গিয়েছিল ব্যক্তির ব্লাডারে। চিকিৎসকরা এমন ঘটনায় বেশ স্তম্ভিত। যে রোগীর দেহে এমনটা ঘটেছে, তিনি যুবক নন। ৭৯ বছর বয়সী বৃদ্ধ। দুই মিটার পুরু এই স্কিপিং দড়ি কুণ্ডলী পাকিয়ে ব্লাডারে ছিল বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসক। প্রশ্ন হল, এই স্কিপিংয়ের দড়ি কীভাবে ঢুকে যায় ওই ব্যক্তির শরীরে? রয়েছে তারও উত্তর।
চিকিৎসকরা বলছেন, ব্লাডারের ভিতরে ওই দড়ি পেঁচিয়ে বসেছিল। তাকে বের করাই দুঃসাধ্য ছিল। ৭৯ বছর বয়সী ওই রোগীকে জিজ্ঞাসা করার পর চিকিৎসকরা জানতে পারেন যে, তাঁর মূত্রাশয় দিয়ে ঢুকানো হয় ওই স্কিপিংয়ের দড়ি। শেষে এটি জানতে পেরে অপারেশনে সুবিধা হয় চিকিৎসকদের। দড়ি যে পথে ঢুকেছিল, সেই পথেই বের করার পরিকল্পনা করেন চিকিৎসকরা। তবে তার জন্য ব্লাডারের একটি অপারেশন করে ছিলেন তাঁরা। চিকিৎসকরা বলছেন, যে ভাবে মূত্রাশয় দিয়ে স্কিপিংয়ের দড়ি ওই ৭৯ বছর বয়সী ব্যক্তি ঢুকিয়েছিলেন, তা একটি ভয়ানক যৌন উদ্দামমূলক ঘটনা! যদিও কেন ওই দড়ি নিজের মূত্রাশয় দিয়ে ব্যক্তি ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন, তা নিয়ে রয়েছে বহু জল্পনা। যে ‘কেন’র উত্তর ব্যক্তি দেননি বলে জানা গিয়েছে। রোগীর এই অপারেশনে থ্রিডি কম্পিউটার মডেলে নিয়ে তবেই করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইউকের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি ‘এক্সট্রিম’ কেস।
মূলত, জাপালের টোকিওর ডোকিও মেডিক্যাল ইউনিভারসিটিতে ভর্তি ছিলেন ওই ৭৯ বছর বয়সী ব্যক্তি। সেখানে শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাজির হন তিনি। প্রস্রাবের সময় যন্ত্রণা জাতীয় সমস্যা হয় তাঁর। সেই কথা জানিয়ে তিনি চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হন। তারপরই উঠে আসে আসল ঘটনা। জানা গিয়েছে, অপারেশনের পর আপাতত সুস্থ রয়েছেন ব্যক্তি। তাঁর আর কোনও শারীরিক জটিলতাও দেখা দেয়নি।