বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মহিলা, তুরস্কের রুমেসা গেলগির সঙ্গে দেখা করলেন বিশ্বের সবচেয়ে ছোট মহিলা, ভারতের জ্যোতি আমগে। একসঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছেন, চা খেয়েছেন এবং একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করেছেন। পার্থক্যটা ছিল শুধুমাত্র উচ্চতার। একবার দেখাতেই তাঁদের বন্ধুত্ব জমে ক্ষীর। অন্তত গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের শেয়ার করা ভিডিয়ো দেখে তাই বলছেন নেটিজেনরা।
আরও পড়ুন: (Chill Guy: ক্রিপ্টোকারেন্সির মুখ নেটদুনিয়া খ্যাত 'চিল গাই', বিরক্ত স্রষ্টা, কী বললেন)
কী দেখা গিয়েছে ভাইরাল ভিডিয়োতে
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের শেয়ার করা ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, জ্যোতির সঙ্গে খোশ গল্প শুরু করেছেন রুমেসা। রুমেসা যে রুমে বসেছিলেন, জ্যোতি তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য সেখানে প্রবেশ করতেই, রুমেসা বলেন, তুমি অনেক সুন্দর। জ্যোতিও উত্তর দেন, তুমিও তাই।
ভাইরাল ভিডিয়োটি দেখুন
বলা বাহুল্য, ভিডিয়োটি শেয়ার করার পর থেকে, প্রচুর মানুষের নজর কেড়েছে। অনেকেই কমেন্ট বক্সে এসে নিজেদের মতামত দিয়ে এসেছেন।
নেটিজেনরা কী বলছেন
একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'বাহ। কী চমৎকার মুহূর্ত'। আরও একজন যোগ করেছে, 'এটি আশ্চর্যজনক'। তৃতীয় জন লিখেছেন, 'কত লম্বা?' চতুর্থ একজন প্রকাশ করলেন, 'তাঁরা দুজনেই খুব সুন্দর!'
আরও পড়ুন: (কলকাতায় এলেই কোন জিনিস করতেই হবে, সুলুকসন্ধান দিচ্ছেন নেটনাগরিকরাই, মিলিয়ে নিন কোনটা মিস হয়েছে)
রুমেসা গেলগির পুরো পরিচয়
রুমিসা ১৯৯৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ওয়েভার সিনড্রোমে আক্রান্ত রুমেসা। এই সিনড্রোমের কারণে তিনি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি লম্বা। সারা জীবন ধরে, তিনি সার্জারি এবং ফিজিওথেরাপি সহ অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। যতই কঠিন সময় এসেছে, তাঁর পরিবার সঙ্গ ছাড়েনি। পরিবারের দৃঢ় সমর্থনে সব বাধা কাটিয়ে উঠেছেন। বর্তমানে রুমেসা গেলগি তুরস্কের একজন উকিল, পাবলিক স্পিকার এবং একজন অ্যাক্টিভিস্ট। তিনি ২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা জীবিত মহিলার রেকর্ড গড়েছিলেন। তাঁর উচ্চতা ৭ ফুট ০.৭ ইঞ্চি (২১৫.১৬ সেমি)। এর আগে, তিনি সবচেয়ে লম্বা কিশোরীর রেকর্ডটিও ধরেছিলেন।
রুমেসা তাঁর ওয়েবসাইটে বলেছিলেন, আমি কখনও স্কুলে যাইনি, কিন্তু হোমস্কুলিংয়ের মাধ্যমে আমার শিক্ষা শেষ করেছি। এখন আমি একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী সেলফ-টট-ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপার। তাঁর কাছে দু' টি ভিন্ন গ্লোবাল ইনস্টিটিউট থেকে দু' টি পেশাদার সার্টিফিকেশনও রয়েছে।
জ্যোতি আমগের পুরো পরিচয়
জ্যোতি আমগে ভারতের নাগপুরের মেয়ে। বয়স পাঁচ বছর না হওয়া পর্যন্ত তাঁর উচ্চতা স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু তারপরে তাঁর অ্যাকোনড্রোপ্লাসিয়া ধরা পড়ে। এটি এক ধরনের বামন অবস্থা, যা তাঁকে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতার থেকে লম্বা হতে বাধা দিয়েছিল। জাপানের বিক্কুরি চোজিন ১০০ স্পেশাল নং ২ নামক একটি টিভি শো থেকেই বিশ্বের নজরে আসেন জ্যোতি। তিনি গায়ক মিকা সিংয়ের একটি গানের জন্য একটি মিউজিক ভিডিয়োতেও কাজ করেছেন। সম্প্রতি, এমনকি জনপ্রিয় মার্কিন টিভি শো আমেরিকান হরর স্টোরিতেও দেখা গিয়েছে জ্যোতিকে।
বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন এবং বিশ্বজুড়ে ভ্রমণের আগে, থেকেই জ্যোতি আমেরিকা ভ্রমণের স্বয়ং দেখতেন। একবার বলেছিলেন, 'আমি লন্ডনে ভ্রমণ করতে চাই।' আর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের পর আনন্দের সঙ্গে জ্যোতির দাবি, আমাকে দেখে মানুষ যখন চিনতে পারছিলেন, আমার সঙ্গে ছবি তুলতে চাইছিলেন আমি খুবই খুশি হয়েছিলাম।