আমাদের আশেপাশে এমন অনেক প্রাকৃতিক উপাদান আছে যেগুলির কার্যকারিতা সম্বন্ধে আমরা ওয়াকিবহাল নই। যেমন ধরা যাক হেলেঞ্চা বা হিঞ্চা শাক। এই শাকের উরকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছুই অজানা। দেখে নেওয়া হিঞ্চা শাক আমাদের কী কী উপকারে লাগতে পারে?
এই শাক একটি ভেষজ উদ্ভিদ, যা জলে জন্মায়। এই উদ্ভিদকে শাক হিসাবেও খাওয়া হয়ে থাকে। এই শাককে অনেকে হিঞ্চা, হিঞ্চে বা হিমলোচিকা বলেও ডাকে। হেলেঞ্চা গাছ ৩০ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এই গাছের পাতার দৈর্ঘ্য ২ থেকে ৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। (আরও পড়ুন: সজনে খান? জানেন, এই আনাজটি সম্পর্কে আয়ুর্বেদে কী বলা হয়েছে)
গাছে শীতের প্রথমেই ফুল ফোটে আর ফুলের রং সাদা। হিঞ্চা শাকের বহু উপকারিতার মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্যগুলি হল:
১. ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ:শীত এবং বর্ষাকালে দুইটি রোগ মানুষের খুবই কষ্টদায়ক। গায়ে কাঁটা বা ঘামাচি,প্রথমটি শীতে এবং দ্বিতীয়টি গরমকালে মানুষের জন্য খুবই কষ্টদায়ক হয়ে দাঁড়ায়। হেলেঞ্চা শাকের তিন-চার চামচ রস সকালে একবার করে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। এই দুই ধরনের রোগের জন্য হিঞ্চা পাতা সামান্য জল দিয়ে বেটে তার রস সারা শরীরে মাখলে খুব তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যায়। (আরও পড়ুন: খাবার জল কাচের বোতলে ভরে রাতে চাঁদের আলোয় রেখে দিন, সেই জল খেলে কী হবে জানেন)
২. বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসাবে:শরীরে দু’-একটি গুটি দেখা দেওয়া মাত্রই অর্থাৎ রোগের প্রথম অবস্থায় শ্বেতচন্দন গুঁড়ো দেড় থেকে দুই গ্রাম এবং হিঞ্চা শাকের রস আধ কাপ,এ দু’টি ভালোভাবে মিশিয়ে খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
৩. লিভারের সমস্যা মেটাতে: লিভার দুর্বল হলে শরীরে নানা ধরনের রোগ দেখা দেয়। ১০০ গ্রাম হেলেঞ্চা বা হিঞ্চা শাক ছোট করে কেটে,১৫০ মিলিলিটার জলে পরিমাণ মতো নুন মিশিয়ে সিদ্ধ করতে হবে। জল ফুটে এক কাপ পরিমাণ হলে পাত্রটি আঁচ থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে। ঠাণ্ডা হলে ভাত খাবার আগে চার-ছয় ফোঁটা সরষের তেল মিশিয়ে খেলেলিভার সবল হয়।
৪. কোমরের যন্ত্রণা উপশমে:কোমরের ঠিক নীচে ব্যথা বা যন্ত্রণা,পায়ের পেশিতে রাতের দিকে টান ধরে,এসব ক্ষেত্রে তিন চামচ হিঞ্চা শাকের রস,হালকা গরম করে সকালের দিকে খালি পেটে খেলে ভালো হয়ে যায়।