ট্রেন্ডে রয়েছে, রোগা হওয়ার নানান উপায়। ক্রমাগত বাড়তে থাকা ওজনে দাঁড়ি বসিয়ে, ফিট হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকতে চান অনেকেই। এ ক্ষেত্রেই পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেন এরিকা জেনিংস। নিজের ইনস্টাগ্রাম পেজ ফরএভার ওয়েলনেস লাইফ-এ সুস্থতা এবং ওজন কমানোর টিপস শেয়ার করেন এরিকা।
সম্প্রতি এমনই একটি পোস্টে, এরিকা উল্লেখ করেছেন যে আপনি যদি দিনের পর দিন স্বাস্থ্যকর আবার খেয়েই যাচ্ছেন। ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম করছেন, কিন্তু তারপরও আপনার ওজন কমছে না, তবে এমন কিছু রয়েছে যা এক্ষেত্রে আপনাকে লক্ষ্য অর্জন করতে দিচ্ছে না। এটা হয়ত আপনি জানেনই না।
আরও পড়ুন: (Life Hacks: বাথরুমে দুর্গন্ধ হলে এই টিপসগুলি জেনে নিন, হোটেলের বাথরুমে এই কারণেই সুগন্ধ থাকে)
এমন সময়ে, একটি খুব সাধারণ পন্থা অবলম্বন করেই, এরিকা, ৪ মাসে ১৮ পাউন্ড বা ৮ কেজি ওজন কমিয়েছেন। এরিকার দাবি, তিনি ডায়েটে একটি ছোট জিনিস পরিবর্তন করেই, দ্রুত ওজন কমাতে শুরু করেছিলেন। কিছুই না। শরীরে ইনসুলিন হরমোন নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেছিলেন তিনি। এর দরুণ তাঁর চর্বিও সেভাবে সঞ্চয় হচ্ছিল না। এইভাবেই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে। তাঁর ১৮ পাউন্ড ওজন কমে যায়। এরিকার কথায়, কিছু ছোট ছোট পরিবর্তন সত্যিই আমাকে বেশি পরিমাণে গ্লুকোজের মাত্রা এড়াতে সাহায্য করেছে।
কীভাবে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে
এরিকা জানিয়েছেন,
- সুষম খাবার, রক্তে শর্করাকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করেছে।
- খাওয়ার পরে প্রায় ৩০ মিনিট হাঁটাচলা করা বা ঘোরাফেরা করা তাঁকে উপকৃত করেছে।
- অন্যান্য খাবারের আগে শাকসবজি খেয়েছেন।
- খাবার খাওয়ার আগে এক গ্লাস জলে ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করেছেন।
ভাইরাল ভিডিয়ো দেখুন এখানে
আরও পড়ুন: (Camphor Lamp: বাড়িতে কর্পূরের প্রদীপ জ্বালানো হয় কেন? কয়েকটি আশ্চর্য গুণের কথা জেনে নিন)
প্রসঙ্গত, এইচটি লাইফস্টাইলের সঙ্গে একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে, পুনের রুবি হল ক্লিনিকের একজন এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ডক্টর পীযূষ লোধা ব্যাখ্যা করেছেন, ওজন বৃদ্ধি রক্তে শর্করার মাত্রা এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তিনি যোগ করেছেন, যখন কারো অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায়, বিশেষ করে পেটের আশেপাশে চর্বি জমে, এটি বেশি পরিমাণে ইনসুলিন প্রতিরোধের দিকে পরিচালিত করতে পারে। এটি ঘটে কারণ চর্বি কোষগুলি ইনসুলিনকে চিনিকে কোষে প্রবেশ করতে সাহায্য করতে বাধা দেয়, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যায় পরিণত হতে পারে। এটি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা, টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ায়।