তাঁদের বয়স ৩০ এর ঘরে। এমন অবস্থায় গত ৫ বছরে ৬ বার মিসক্যারেজের শিকার হয়েছেন মহিলা। প্রতিবারই জটিলতা দানা বেঁধেছে ভ্রূণের নিউরাল টিউব ঘিরে। এই সমস্ত কঠিন অধ্য়ায় পার করে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর দম্পতির কোল আলো করে জন্মেছে সন্তান। ২ মাস বয়সের এই সন্তানের স্বাস্থ্য এখন বেশ ভাল। হাসি ফুটেছে পরিবারে।
নিউরাল টিউব সংক্রান্ত যে সমস্যা ভ্রূণে দেখা যাচ্ছিল তাতে শিশুর মস্তিষ্ক বা মেরুদণ্ডে প্রভাব পড়তে পারে মায়ের গর্ভে। যা মা ও শিশু দুজনের পক্ষেই খারাপ দিক। এরপর চণ্ডীগড়ের চিকিৎসকদের তৎপরতায় সফলভাবে মে মাসে এক ফুটফুটে শিশুকে জন্ম দেন শ্রীনগরের বাসিন্দা ওই মহিলা। চিকিৎসকরা বলছেন, এই ঘটনাই প্রমাণ করে যে জন্মাকালীন খপঁত থাকা সমস্ত শিশুকে নিয়ে উদ্বেগ হয়তো সবসময় সঠিক নয়। কিছু ক্ষেত্রে শিশুর জন্ম স্বাস্থ্যকরভাবে হতেও পারে। চণ্ডীগড়ের নারীরোগ বিশেষজ্ঞ তথা চণ্ডীগড় হাসপাতালে ডিরেক্টর জেনারেল সীমা শর্মা বলছেন, 'ওই প্রসূতির একটি বারের গর্ভে এসেছিল যমজ সন্তানের ভ্রূণও'। জানা যাচ্ছে নিউরাল টিউবের সমস্যা মায়ের গর্ভেই সন্তানের মধ্যে আসতে পারে। যার ফলে, শিশুর মস্তিষ্ক বা করোটির অংশ নাও থাকতে পারে, বা সেই অংশ খোলা থাকতে পারে। যা সন্তানের জন্মকে বিভ্রান্ত করে।যুদ্ধের মাঝে ম্যাগাজিনের কভারে 'পোজ' সস্ত্রীক জেলেনস্কির! বাড়ছে ক্ষোভ
চিকিৎসক বলছেন, মায়ের গর্ভে থাকা সন্তানকে নিয়ে কোনও রকমের যদি সন্দেহ থেকে থাকে,তাহলে তা কাটিয়ে তুলতে চিকিৎসকদের পরামর্শ জরুরি। সীমা শর্মা বলছেন, এই সন্তানকে জন্ম দিতে ভীষণই আগ্রহী ছিলেন প্রসূতি। আর তাঁর কথা মেনে প্রসূতিকে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। 'শেষে ঈশ্বরের কৃপায় সন্তান সুস্থভাবে জন্ম নেয়', বলে বর্ণনা করছেন এই বিরল ঘটনার অন্যতম সাক্ষী চিকিৎসক সীমা শর্মা।