সিগারেট খেলেই তাকিয়ে থাকুন মুখের দিকে। হাঁ করে তাকিয়েই থাকুন। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে এমনটাই পরামর্শ দিলেন হংকং-এর স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সেক্রেটারি লো চাঙ-মাউ। ধূমপানের অভ্যাস কমাতে সম্প্রতি একটি বৈঠকে শহরের নাগরিকদের এই পরামর্শ দেন তিনি। শহরকে সিগারেটের নেশামুক্ত করতেই এমন পদক্ষেপের কায়দা জানান তিনি। কিন্তু সিগারেট বা ধূমপানের প্রবণতা কমাতে কেন এই নির্দেশ? তার সপক্ষে একটি যুক্তিও দিয়েছেন অধ্যাপক লো চাঙ-মাউ। তাঁর কথায়, ধূমপান করতে দেখলেই তাঁর দিকে হাঁ করে চেয়ে থাকুন। এতে সে কিছুটা হলেও লজ্জা পাবে। আশেপাশের লোকেরা হাঁ করে তাকিয়ে থাকলে তিনি নিজে থেকে সিগারেট খাওয়া বন্ধও করে দিতে পারেন। কোনও প্রতিবাদ না করে এভাবে তাকিয়ে থাকলেও তা কাজে দেবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মানুষের পক্ষে থাকাই মুশকিল! করাচি নিয়ে কেন এমন রিপোর্ট দিল খোদ পাক সংবাদমাধ্যম
আরও পড়ুন: সময়ের আগেই পাকা চুলে ভরছে মাথা? ৫ খাবার খেলেই কিন্তু ‘ইয়ং লুক’ ফিরে পাবেন
প্রসঙ্গত, শুক্রবার লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের একটি বৈঠকে অধ্যাপক লো বলেন, ধূমপান আমাদের সবার স্বাস্থ্যের জন্যই খারাপ। তাই কোনও ব্যক্তিকে ধূমপান নিষিদ্ধ এলাকায় ধূমপান করতে দেখলেই এই কায়দাটা কাজে লাগাতে বলেন। অনেক সময়, সঙ্গে সঙ্গে কোনও পুলিশের চোখে পড়ে না এমন ঘটনা। সে ক্ষেত্রে এই দাওয়াই বেশ কাজের হবে বিশ্বাস তাঁর। কোন কোন ক্ষেত্রে এই কায়দাটি ফলদায়ক তাও বলেছেন অধ্যাপক লো চাঙ-মাউ। তাঁর কথায়, রেস্তোরাঁর মতো জায়গায় কেউ যখন সিগারেট বার করে ধূমপান করেন, তখন ওখানে থাকা সবারই এক কাজ করা উচিত। এতে সরব প্রতিবাদ না হলেও নীরব প্রতিবাদ জানানো হয়। ধূমপায়ীকে রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলতে এটাই যথেষ্ট বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সেক্রেটারি।
শহরের মধ্যে ধূমপানহীন সংস্কৃতি গড়ে তুলতেই এমনটা পরিকল্পনা করছেন তিনি। তাঁর কথায় সহনাগরিকদের দায়িত্বও মনে করিয়ে দেন অধ্যাপক লো চাঙ-মাউ। প্রসঙ্গত, সমাজের বিভিন্ন স্তরে নিয়মানুবর্তিতার কথাও উঠে আসে তাঁর মন্তব্যে। বাস ধরার সময় লাইন দিয়ে বাস ধরার পরামর্শ দেন। এর জন্য আলাদা করে আইনের প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনেও করেন না। তবে ধূমপানের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এই দিন বেশ কড়া ভাষায় মন্তব্য করেন তিনি। ধূমপানে অনিয়ম রোধে তিনি রীতিমতো মোটা অঙ্কের জরিমানা ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজেও নজরদারি চলবে বলে জানান। কাউকে নিষিদ্ধ এলাকায় ধূমপান করতে দেখলেই প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে বলেই বার্তা তাঁর।