১। শ্যামলবাবু তাঁর বন্ধুকে বলছেন, ‘জানিস, আমি গোয়েন্দা উপন্যাস সব সময় মাঝামাঝি থেকে পড়া শুরু করি। তাতে মজাটা বেশি হয়।’
বন্ধু: কীভাবে?
শ্যামলবাবু: তখন শুধু উপন্যাসের শেষ না, শুরুটা জানারও কৌতূহল থাকে!
(আরও পড়ুন: অনেক দিন প্রাণভরে হাসেননি, কারণ পড়া হয়নি জোকস! আজই পড়ুন দিনের সেরা ৫)
২। বাসে গাদাগাদি ভিড়। এক ভদ্রলোক একটি অ্যাটাচিকেস নিয়ে উঠলেন। মাস্টারমশাই ধরনের চেহারা।
প্রশ্ন করলেন, ‘আচ্ছা, পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের কারণ কী?’
সকলেই চুপ করে শুনতে থাকলেন তার কথা। কেউ কোনও কথা বলছেন না দেখে তিনি আবার শুরু করলেন -
‘পলাশীর প্রান্তরে সেদিন নবাব সিরাজউদ্দৌলার সৈন্য ছিল অনেক। লর্ড ক্লাইভের সৈন্য অল্প সংখ্যক থাকা সত্ত্বেও নবাব পরাজিত হয়েছিলেন। আপনারা বলবেন যে জগৎ শেঠ, মীর জাফরদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে নবাব পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু এই ইতিহাস সবটাই সত্য নয়। সত্য ইতিহাস জানতে হবে।’
একজন কৌতূহলী যাত্রী জানতে চাইলেন, ‘তবে সত্য ইতিহাসটা কী?’
‘সত্য ইতিহাস আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। ক্লাইভ দূরবীন দিয়ে নবাবের সৈন্যদের গতিবিধি লক্ষ্য করলেন। পলাশীর আম বাগান তখন শূন্য। মীর জাফর তার আয়ত্ত্বাধীন সৈন্য নিয়ে কেটে পড়েছে।ম ক্লাইভ তো অবাক। নবাবের সৈন্যরা তবে গেল কোথায়? নিশ্চয়ই কোনও চাল চেলেছে।’
‘হঠাৎ নজর পড়ল আমগাছের দিকে। একটি ডাল নড়ে উঠল। ক্লাইভ এবার দেখল যে, নবাবের সৈন্যরা আম গাছের ডালে ডালে বসে আছে। নিচ দিয়ে যেতে গেলেই তারা গেরিলা আক্রমণ করবে বলে প্রস্তুত।’
‘ক্লাইভ কাছাকাছি না গিয়ে দূর থেকে কামান আর বন্দুক তাক করল। ফলন্ত গাছ থেকে আমের সাথে সাথে টুপটুপ করে ঝরে পড়তে লাগল নবাবের সৈন্য। আহ্!’
ভদ্রলোকের বলার ভঙ্গিতে জাদু ছিল। সকলেই মন দিয়ে শুনছিলেন তাঁর কথা। তিনি আবার বলে উঠলেন -
‘নবাবের সৈন্যরা সকলেই ইংরেজদের হাতে মারা পড়লেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন আপনাদের কাছে। আম গাছের ডাল সে দিন নড়ে উঠল কেন? কী ছিল ষড়যন্ত্র?’
যাত্রীদের সকলের মনে প্রশ্ন জেগে উঠল। তাই তো, আম গাছের ডাল নড়ে উঠল কেন? গাছের ডাল না নড়লে তো ক্লাইভের নজরে আসত না সৈন্যদের অবস্থান!
ভদ্রলোক বললেন, ‘কেন নড়ে উঠেছিল গাছের ডাল? কে বলতে পারবেন?’
যথারীতি সকলেই চুপ করে থাকলেন। ভাবগতিক এমন যে, ‘আমরা জানি না, আপনিই বরং বলে দিন।’
তিনি তখন অ্যাাটাচি কেস খুললেন। একটি জিনিস বের করে সকলকে দেখিয়ে বললেন -
‘ডাল নড়ে ওঠার কারণ ছিল- চুলকানি, দাদ, চর্মরোগ। বড় মারাত্মক এই রোগ, বুঝলেন? নবাবের এক সৈন্যের ছিল চুলকানি। এই চুলকানির জন্যই সে দিন ডাল নড়ে উঠেছিল। ডাল না নড়লে ক্লাইভ নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।
আর তাই আমি এনেছি চুলকানির মলম। দাম মাত্র ত্রিশ টাকা!’
(আরও পড়ুন: উইকেন্ডে হাসি কিন্তু মাস্ট! পড়ে নিন দিনের সেরা ৫ জোকস, আর শনিবার সকাল হোক মজার)
৩। দুই মাতাল গ্যালারিতে বসে ক্রিকেট ম্যাচ দেখছে।
এমন সময় ব্যাটসম্যান ছক্কা হাঁকালেন।
১ম মাতাল: ওহ! কী দারুণ একটা গোল দিল!
২য় মাতাল: আরে বুদ্ধু, গোল কি এই খেলায় হয় নাকি? গোল তো হয় ক্রিকেট খেলায়!
(আরও পড়ুন: রবিবারে হাসতে হবে কিন্তু! পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস, ছুটির দিন আরও একটু মজার হোক)
৪। এক দরিদ্র কেরানিকে তাঁর বস জিজ্ঞেস করলেন, এবারের গ্রীষ্মের ছুটিটা কোথায় কাটাবে?
দীর্ঘশ্বাস ফেলে কেরানি বললেন: ছেলে যাচ্ছে ইতালির সমুদ্রসৈকতে, স্ত্রী যাচ্ছে ভূমধ্যসাগরে জাহাজ-ভ্রমণে।
—তুমি কোথাও যাবে না?
—সম্ভবত জেলে।
(আরও পড়ুন: হাসলে নাকি আয়ু বাড়ে! তাহলে এখনই পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস, আর হাসুন প্রাণভরে)
৫। বস: এ কী টাইপিষ্ট নিয়েছেন? সুন্দরী তাতে সন্দেহ নেই, কিন্তু প্রতিটি লাইনে এক গন্ডা ভুল। আপনাকে বলিনি, টাইপিষ্ট নেবার সময় গ্রামারের দিকে নজর রাখবেন?
ম্যানেজার: শুনতে ভুল হয়েছিল স্যার। আমি গ্ল্যামারের দিকে নজর রেখেছিলাম।