Xiaomi India Former CEO: ‘ছোটদের ফোন দেবেন না!’ সপাট মত ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থার কর্তার, কী হল হঠাৎ

বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ফোন দেওয়া বন্ধ করুন। স্পষ্ট ভাষায় এমনটাই পরামর্শ দিল শাওমি ইন্ডিয়ার প্রাক্তন সিইও মনু কুমার জৈন। বাচ্চাদের হাতে ফোন দেওয়ার বিরোধী অনেকেই।

মনু কুমার জৈন

বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ফোন দেওয়া বন্ধ করুন। স্পষ্ট ভাষায় এমনটাই পরামর্শ দিল শাওমি ইন্ডিয়ার প্রাক্তন সিইও মনু কুমার জৈন। বাচ্চাদের হাতে ফোন দেওয়ার বিরোধী অনেকেই। সেই তালিকায় এবার নাম লেখালেন শাওমি ইন্ডিয়ার প্রাক্তন সিইও মনু কুমার জৈন। তবে এমন মন্তব্যের পিছনে সাম্প্রতিককালের আরেকটি ঘটনা রয়েছে। কিছু দিন আগেই সেপিয়েন ল্যাবের একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়। সেখানেই জানা যায়, ছোটদের উপর মোবাইল ফোনের কুপ্রভাব সংক্রান্ত একটি বিশেষ তথ্য। ছোট বয়স থেকেই যাদের হাতে ফোন দেওয়া হচ্ছে, পরিনত হতেই তারা নানা মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। তরুণ ও কিশোরদের নানা মানসিক সমস্যার পিছনেও দায়ী মোবাইল ফোনই। সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে আসতেই তোলপাড় হয় সারা বিশ্বে। 

প্রসঙ্গত, সেই সূত্রেই এমন মন্তব্য করেন শাওমি ইন্ডিয়ার প্রাক্তন সিইও মনু কুমার জৈন। তাঁর কথায়, তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিরোধী নন। কিন্তু এর থেকে ছোট খুদেদের বড়সড় ক্ষতি হচ্ছে। তা এড়াতে বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ফোন দেওয়া বন্ধ করা জরুরি। জাবংয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা বাবা-মায়েদের প্রতি এই নিয়ে বিশেষ আর্জি জানান। নিজের লিঙ্কডইন প্রোফাইলের একটি পোস্টে মনু কুমার লেখেন, ‘অভিভাবকেরা, আসুন মোবাইল ও ট্যাবলেটের ক্ষতিকর দিক নিয়ে এবার কথা বলি। ছোটদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর যে প্রভাব ফেলছে এই যন্ত্র তা নিয়ে আলোচনা করি।’

প্রসঙ্গত, ছোট বয়সে শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন দেওয়ার ফলে তরুণ বয়সে তারা বিভিন্ন মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। খুদে ও তরুণদের মধ্যে এই বিষয়ে সমীক্ষা করে বড়সড় সাদৃশ্য পাওয়া গিয়েছে। ফলে জোরদার হয়েছে গবেষণার দাবি। পরিসংখ্যানের নিরিখে ১০ বছর বয়সের আগেই যারা মোবাইল হাতে পেয়েছে, তাদের ৬০-৭০ শতাংশ মেয়েরা পরে মানসিক সমস্যায় ভুগেছে। অন্যদিকে ছেলেদের মধ্যে ৪৫-৫০ শতাংশই ভুগেছে এই সমস্যায়। নিজের পোস্টে সেই পরিসংখ্যানই তুলে ধরেন মনু কুমার জৈন। এরপরেই অভিভাবকদের কাছে বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ফোন দেওয়া বন্ধ করার বিশেষ আর্জি রাখেন।