পশুরাজ সিংহ, প্রকৃতির প্রতিটা প্রাণী যাকে দেখে সবচেয়ে ভয় পায়, ভয়ঙ্কর শিকারী হিসাবে যে বিশ্ব বিখ্যাত, সেই সিংহই নাকি বিড়ালের মতো আচরণ করছে। পছন্দের মানুষটিকে আশেপাশে দেখে, তার শান্ত, স্নেহপূর্ণ আচরণ স্তম্ভিত করেছে নেটপাড়াকে। ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এমনই দুইটি ভিডিয়ো।
দু' টো ভিডিয়োই ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা হয়েছে। ভিডিয়ো বন্দি হয়েছে বিরল দুই মুহূর্ত। প্রথম ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে যে পাকিস্তানের একজন ব্যক্তি একটি বিশাল পুরুষ সিংহের পাশাপাশি নিশ্চিন্তে হেঁটেচলে বেড়াচ্ছেন। প্রাণের ভয় একেবারেই নেই। সিংহটিকে দেখে মনে হচ্ছে সে যেন তাঁর পোষা কুকুর বা বিড়াল। ডিজিটাল নির্মাতা মিয়া সাকিবের পোস্ট করা এই ক্লিপটি এক মিলিয়নেরও বেশি ভিউ সংগ্রহ করে, নেটিজেনদের ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
আরও পড়ুন: (The Great Banyan Tree: বোটানিক্যাল গার্ডেনের বটগাছ হারালো ‘সম্মান’? সেরার তকমা আর নেই, মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ)
দ্বিতীয় ভিডিয়ো দেখলে যদিও গা শিউরে উঠতে পারে। পরবর্তী ভিডিয়োটিও পোস্ট করেছেন মিয়া সাকিব। সেখানে দেখা গিয়েছে, সিংহটি সোজা হয়ে লম্বালম্বিভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ওই পাকিস্তানি ব্যক্তিকে সামনের দুই পা দিয়ে চেপে ধরে রয়েছে সে। ব্যক্তি যদিও একটুও ভয় না পেয়ে, তার সঙ্গে খেলছেন। যা দেখে রীতিমত চোখ কপালে উঠে গিয়েছে নেটিজেনদের। অনেকেই বন্য প্রাণীটির এত কাছাকাছি যাওয়া নিয়ে ওই ব্যক্তির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
যদিও, এই প্রথম নয়। পাকিস্তানি এই ব্যক্তি অনেক আগে থেকেই বন্য প্রাণীদের সঙ্গে ভিডিয়ো বানিয়ে আসছেন। ইনস্টাগ্রাম স্ক্রিনে বেশিরভাগ সময়ই বাঘ, সিংহ এবং অন্যান্য শিকারী প্রাণীদের সঙ্গে তাঁকে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: (The Morgan House: সংস্কারের পথে কালিম্পং-এর মর্গ্যান হাউস, পুরনো ঐতিহ্য বজায় থাকছে কি)
সবটা দেখে কী বলছেন নেটিজেনরা
ভিডিয়োটি দেখে দর্শকেরা একাধিক মন্তব্য করেছেন। একজন তো অবাক হয়ে বললেন, আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না। এই সিংহকে কীভাবে এত শান্ত দেখাচ্ছে! এটা কীভাবে সম্ভব? একইভাবে, অন্যজন ভিডিয়োটিকে রোমাঞ্চকর এবং অস্বস্তিকর বলেছেন। তাঁর দাবি, এই ধরনের ভিডিয়োটি আকর্ষনীয় হলেও, এটি বানানোর জন্য যে ঝুঁকি রয়েছে, তা উপেক্ষা করা কঠিন।
আরও একজন আবার কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের সাহসিকতার প্রশংসা করে, মন্তব্য করেছেন, অবিশ্বাস্য! এখানে দেখানো সাহস অনন্য। আমি নিজেও এটি চেষ্টা করার সাহস পেতাম কিনা তা নিশ্চিত নই। কেউ কেউ আবার ওই ব্যক্তির নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বলেছেন, এটি অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ বলে মনে করা হচ্ছে। আবার কারও দাবি, এই প্রাণীগুলিকে তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থলে থাকতে দেওয়া উচিত, তারা সোশ্যাল মিডিয়া স্টান্টের অংশ নয়।