অনেক সময় ভ্রূণ প্রতিস্থাপনের পরেও ভ্রূণ ধরে রাখা যায় না নানা সমস্যার কারণে। সেই সমস্যা ছিল বাংলাদেশ থেকে আসা এক মহিলারও। অবশেষে তা কাটিয়ে মুখে হাসি ফুটল তাদের। ‘ট্রান্সমায়োমেট্রিয়াল এমব্রায়ো ট্রান্সফার’ (টিএমইটি) নামে এক সম্পূর্ণ নতুন পদ্ধতির প্রয়োগ করে ভ্রূণ প্রতিস্থাপন করা হয়। এর খরচ সাধারণ আইভিএফ পদ্ধতির মতোই। কলকাতায় এই পদ্ধতির প্রথম প্রয়োগ করলেন স্ত্রীরোগ ও বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসক সুদীপ বসু। তিনি এই দিন বলেন, বিশেষ টোকাও পদ্ধতিতে ১৮ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের টিএমইটি নিড্ল ব্যবহার করে ওই মহিলাকে প্রথমে ঘুম পাড়ানো হয়। এর পর প্রতিস্থাপন করা হয় ভ্রূণ। উন্নত মানের আলট্রাসাউন্ড দিয়ে এই প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর পর কিছু ক্ষণ পর্যবেক্ষণে রেখে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
(আরও পড়ুন: আলুসিদ্ধ পেঁয়াজ কুচি দিয়ে মেখে খাওয়ার অভ্যাস? এতে শরীরের কী হচ্ছে জানেন)
গর্ভাবস্থায় নিয়মিত চেক-আপের পর তিনি ইদানীং সুস্থ পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় আইভিএফ-এর সাফল্য থাকলেও কিছু বাধাও আছে। তাই এই নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। দাবি, খরচ কম হওয়ায় এটি মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই থাকবে।
(আরও পড়ুন: ছোট ছোট কথা ভুলে যান প্রায়ই? এই পরিচিত পানীয়টি রোজ খেলেই সমস্যা কমবে)
চিকিৎসক সুদীপ বসু বলেন, বেশির ভাগ সময় আইভিএফ পদ্ধতিতে ভ্রূণ প্রতিস্থাপন করা হয় ট্রান্সসারভাইকাল রুট দিয়ে। জরায়ুতে সরাসরি প্রতিস্থাপিত হয় ভ্রূণ । এর কিছু দিন পর গর্ভধারণ পরীক্ষা করলে পজিটিভ রেজাল্ট আসে। কিন্তু ৩-৫ শতাংশ মহিলার জরায়ুতে এই ভাবে ভ্রূণ প্রতিস্থাপন সম্ভব নয়। সার্ভিকাল স্টেনোসিস, জরায়ুমুখ ও জরায়ুতে গঠনগত ত্রুটি থাকলে সমস্যা হয়। জরায়ু মুখের অস্ত্রোপচার হয়ে থাকলে ও ভ্রূণ প্রতিস্থাপনে বাধা আসে। তাই বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে বেছে নেওয়া হচ্ছে ‘ট্রান্সমায়োমেট্রিয়াল এমব্রায়ো ট্রান্সফার’ (টিএমইটি)। প্রসঙ্গত, এই পদ্ধতিতে ভারতে দ্বিতীয় বার ভ্রূণ প্রতিস্থাপন হল। পূর্ব ভারতে এই প্রথম। সেই দিক থেকে কলকাতার চিকিৎসক সুদীপ বসু ইতিহাস গড়লেন বলা যায়।