জীবনে ডায়াবিটিস এন্ট্রি নিলে, অনেক কিছুকেই এক্সিট হতে হয়। কারণ এই রোগ একবার শরীরে বাসা বাঁধলে, অনেক কিছুর উপরেই 'না' এর ট্যাগ বসে যায়। পছন্দের একটি খাবারও তখন আর খাওয়া যায় না। সঙ্গে থাকে হাজার একটা বিধিনিষেধ এবং ওষুধ। রোজকার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিতে হয় অনেক কিছুই। এর অবশ্য একটা কারণ আছে।
ডায়াবিটিস রোগ হলে অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন এবং ভুলভাল খাবার খেলে সেটা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। এই রোগ হওয়ার নেপথ্যেও থাকে আমাদের আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা। বর্তমান সময়ে বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। বাড়ি বাড়ি খুঁজলে অন্তত একজন করে ডায়াবিটিস রোগী পাওয়া যাবেই যাবে। কিন্তু এই রোগের চিকিৎসা এখনও সেই অর্থে আবিষ্কার করা যায়নি। ফলে আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান, রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে চান আপনাকে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর এবং উপযোগী খাবার খেতে হবে এবং সঠিক জীবনধারা মেনে চলতে হবে যেমনটা আপনার চিকিৎসক আপনাকে পরামর্শ দেবেন
কিন্তু ওষুধ এবং অন্যান্য জিনিস তো সঙ্গে আছেই, তবে জানেন কি আমাদের ঘরেই এমন অনেক জিনিস মজুত থাকে যা সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কোন জিনিস? আসুন দেখে নেওয়া যাক।
যে ভেষজ সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে:
মেথি: মেথি ফ্যাট এবং কোলেস্টরল কমাতে ভীষণই সাহায্য করে থাকে। এর তিতকুটে স্বাদই হচ্ছে সেই কারণ যা এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও মেথি খালি পেটে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে, গ্লুকোজের প্রতি সহনশীলতা বাড়ায়।
দারুচিনি: যাঁরা ডায়াবিটিস রোগে আক্রান্ত তাঁদের জন্য এই ভেষজ ভীষণই উপকারী। এটা খাবার পর খেলে রক্তে থাকা সুগারের মাত্রা কমায়। এছাড়াও এটি আমাদের শরীরের ফ্যাট গলাতে ভীষণ সাহায্য করে থাকে, একই সঙ্গে কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ করে।
আদা: আদা মেটাবোলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং খালি পেটের সুগার লেভেল কমায়। এতে আছে অ্যান্টি ডায়াবিটিক, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান।
গোলমরিচ: এই ভেষজটিতে পাইপারিন নামক একটি উপাদান থাকে। এই উপাদান আমাদের শরীরের রক্তের মধ্যে থাকা সুগারের লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে গোলমরিচ সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করতে ভীষণই সাহায্য করে থাকে।
জিনসেং:এই ভেষজটিতেও আছে অ্যান্টি ডায়াবিটিক উপাদান। এটা শরীরের ইনসুলিন মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এবং একই সঙ্গে কার্বোহাইড্রেটের শোষণ কমায়। ফলে সবটা মিলিয়ে রক্তে সুগার লেভেল ঠিক থাকে।
গিলয়: এই গাছের পাতা ডায়াবিটিক রোগীদের জন্য ভীষণই উপকারী। এটি সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে এবং অন্যান্য উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এই ভেষজটি।