আমবাতের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ লোক আমবাতে ভোগেন। ত্বকের বিভিন্ন প্রকার সমস্যার মধ্যে আমবাত একটি প্রধানতম সমস্যা।এক্ষেত্রে ত্বক লালচে হয়ে ফুলে ওঠে সঙ্গে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া হয়। কিন্তু আমবাত ছোঁয়াচে নয়। চিকিৎসকদের মতে, এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত।
অধিকাংশ সময়েই দেখা যায় আমবাত ওষুধের বা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হিসাবে দেখা দেয়। এই সমস্যা অনেকের ক্ষেত্রেই সহজে সেরে যায়। কিন্তু অনেকেই এতে বারবার আক্রান্ত হন। ২০-৪০ বছর বয়সিদের মধ্যে এই রোগ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
আমবাত হওয়ার কারণ:এ বিষয়ে চিকিৎসকরা সঠিকভাবে কিছু বলতে পারেন না। তবে রোগ প্রতিরোধের সমস্যার কারণে এটি ঘটে বলে মনে করা হয়। এমনকী জীবনধারায় অনিয়ম কিংবা কিছু কারণেও এ সমস্যা বাড়তে পারে। যেমন- মদ্যপান,টাইট পোশাক পরা,অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ গ্রহণ,অতিরিক্ত ব্যায়াম,ঠান্ডা বা অতিরিক্ত তাপ ইত্যাদি কারণে আমবাত বাড়তে পারে।
আমবাতের কোনও স্থায়ী প্রতিকার নেই, তবে কিছ ঘরোয়া উপায়ে ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। একনজরে দেখা যাক উপায়গুলি কী কী।
১। আমবাত দেখা দিলে আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা সেঁক নিতে পারেন। এটি চুলকানি কমাতে সাহায্য করবে ও প্রদাহ কমাবে। আপনি দিনে একাধিকবারও ঠান্ডা সেঁক নিতে পারেন।
২। ওটমিল ও বেকিং সোডা মেশানো জল দিয়ে স্নান করলে স্বস্তি পাবেন। এতে আমবাতের চুলকানি ও জ্বালাভাব কমতে পারে।
৩। অ্যালোভেরার রস আমবাত দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এজন্য আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা লাগাতে হবে। তবে তার আগে পরীক্ষা করে নিন অ্যালোভেরা আপনার ত্বকের জন্য ঠিক কি না।
৪। আমবাত এড়াতে অত্যধিক ঠান্ডা ও গরম পরিবেশ এড়িয়ে চলুন। এর পাশাপাশি ঢিলেঢালা ও আরামদায়ক পোশাক পরা উচিত।