সকাল ১০ টা বাজতে না বাজতেই রোদের তেজ অনুভূত হতে শুরু করেছে। মেঘলা আকাশ থাকলে তো কথাই নেই! গরমের সঙ্গে ফ্রি তে মেলে ঘামের যন্ত্রণা। এই আবহাওয়াকে সকালে বাজার দোকান করতে
বেরোনা বা অফিসের দৌড়ের মধ্যে রোদের তাপে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। গ্রীষ্মের প্রবল দাবদাহে অনেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে যান। ফরিদাবাদের কিউআরজি সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট গজিন্দর কুমার বলছেন, গরমের তাপ থেকে বাঁচতে মানুষকে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে।
ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নাল বলছে, ১৯৮৭ সাল থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শুধুমাত্র গরম থেকেই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার মানুষ। বলা হচ্ছে,গরমে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আরও পড়ুন-বাইরে লু বয়ে গেলেও বাড়ি ঠাণ্ডা রাখে এই গাছগুলি, পাবেন অনলাইনে অর্ডার দিলেও!
গরমে হৃদয় ভাল রাখার উপায়
- জল বেশি করে পান করতে হবে। প্রতিবার প্রস্রাব করার আগে পরে জল পান করা বাঞ্ছনীয়। মদ ও ক্যাফিন থেকে দূরে থাকুন।
-দুপুর ৩ টের সময় নাগাদ ঘরে থাকুন, ততখের ঠাঁঠাপোড়া রোদের তেজ অসুস্থ করতে পারে যেকোনও সুস্থ মানুষকে।
-হালকা জামাকাপড় পড়ুন। যে পোশাকে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারবেন, তা পরে রোদের মধ্যে বের হন।
-হৃদরোগের সমস্যায় ইতিমধ্যেই যাঁরা জড়িত, তাঁরা গরমেও ওষুধ খেতে ভুলবেন না, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তা খেতে হবে।
কোন লক্ষণ দেখলে বুঝবেন এক্ষুণি চিকিৎসার প্রয়োজন?
-ঘাম হওয়া ছাড়াই যদি ত্বক শুকিয়ে যায়, বা ত্বক গরম হতে থাকে, তাহলে বুঝবেন আপনার চিকিৎসকের প্রয়োজন রয়েছে।
-মাঝে মাঝেই কি মাথায় সবকিছু গুলিয়ে যাচ্ছে? বা কখনও মাথা ঘুরে অচৈতন্য হয়ে যাচ্ছেন? তাহলে ঝুঁকি না নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
-গ্রীষ্মকালে যদি খুবই গা গরম হয়ে জ্বর আসে, তাহলে সতর্ক হতে হবে।
-মাঝে মাঝেই মাথায় প্রবল যন্ত্রণা হওয়া।
গরমজনিত ক্লান্তির চিহ্ন:-
- মাথার যন্ত্রণা।
-ত্বকে ভিজে ভাব, শীত করা।
-খুব বেশি ঘাম।
-মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
-পেশীতে ব্যথা।
-নিঃশ্বাস বেশি হওয়া।
-বমিবমি ভাব।