কথা ছিল মহাকাশে যাওয়ার ৮ দিন পর পৃথিবীতে ফিরবেন নাসার মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস। কিন্তু বোয়িং স্টারলাইনারের সমস্যার কারণে, তার প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এখনও ছয় মাস হয়ত মহাকাশেই আটকে থাকতে পারেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনীতা। বিশ্ববাসী তাঁকে নিয়ে উদ্বিগ্ন। কিন্তু সুনীতার স্বামী নিশ্চিন্ত। জানেন, সুনীতা ভালো আছেন, ঠিক ফিরে আসবেন।
জানা গিয়েছে, সুনীতা উইলিয়ামসের স্বামী মাইকেল হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী। তাঁর সঙ্গে সুনীতার প্রেমের শুরুটাও অদ্ভুতভাবে হয়েছিল। মাইকেল জে. উইলিয়ামস, সুনীতা উইলিয়ামসের স্বামী, একজন ফেডারেল মার্শাল। তিনি ইউএস মার্শাল সার্ভিসে কাজ করেন। সুনীতা ও মাইকেল, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সংসার করছেন। মাইকেল যদিও সুনীতার তুলনায় কম বিখ্যাত। অনেকেই তাঁকে চেনেন না। তবে, সুনীতার জীবনে মাইকেলের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: (Delhi Fake Visa: ৫ বছরে নকল ভিসা তৈরি করে আয় ৩০০ কোটি টাকা! পুলিশের হাতে এতদিনে গ্রেফতার ৭ অভিযুক্ত)
সুনীতা-মাইকেলের প্রেমের শুরু এখানেই
যদিও সুনীতা উইলিয়ামসের নাম মহাকাশ অনুসন্ধান এবং ভারতীয়-আমেরিকান কৃতিত্বের জন্য বিখ্যাত, তাঁর জীবনের গল্পের আরও একটি দিক রয়েছে, যা সুনীতার ক্যারিয়ারের মতোই আকর্ষণীয়। মাইকেলের সঙ্গে প্রেমের গল্পটা শুরু হয়েছিল সামরিক বাহিনীতে থাকার সময়। নাসায় যোগদানের আগে, সুনীতা সামরিক বাহিনীতে কাজ করেছিলেন, যেখানে তিনি হেলিকপ্টার চালাতেন। এই সময়ে ১৯৮৭ সালে, মেরিল্যান্ডের আনাপোলিসের ন্যাভাল একাডেমিতে দেখা হয় দুজনের। প্ৰথমে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেমে পড়েন মাইকেল ও সুনীতা।
এরপর শুধুমাত্র ঘনিষ্ঠ পরিবার এবং বন্ধুদের উপস্থিতিতে বিয়ে করেন সুনীতা এবং মাইকেল। সুনীতাদের গর্বি নামে একটি জ্যাক রাসেল টেরিয়ার ছিল। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের 'ডগ হুইস্পারার' শোতে সুনীতার সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাকে। গর্বি ছাড়াও, সুনীতা ও মাইকেলের আরও তিনটি পোষা প্রাণী রয়েছে, গানার, বেইলি এবং রোটর।
আরও পড়ুন: (Health Report: ৭১ শতাংশ কর্মচারী চিকিৎসার জন্য নিজের পকেট থেকে খরচ করে, চমক রিপোর্টে)
সুনীতার পাশাপাশি, মাইকেল জে. উইলিয়ামসও হিন্দু ধর্ম পালন করেন। ২০০৬ সালে, মহাকাশ যাত্রার সময় সুনীতা উইলিয়ামস সঙ্গে ভগবদ গীতার একটি জেরক্স নিয়ে গিয়েছিলেন। ২০১২ সালে, তিনি সঙ্গে ওমের একটি প্রতীক, ভগবান শিবের একটি ছোট ছবি এবং উপনিষদের একটি জেরক্স মহাকাশে নিয়ে আসেন। সুনীতা-ই ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম ব্যক্তি, যিনি বিশ্ব গুজরাটি সোসাইটি থেকে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিশ্ব প্রতিভা পুরস্কার পেয়েছেন।