শরীর সুস্থ রাখতে অনেকেই বলেন ত্রিফলা খুবই উপযোগী। আমলকি, হরিতকি ও বহেরার মিশ্রণে তৈরি হয় ত্রিফলা। ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, ত্রিফলা গ্যাসট্রিক, বদহজম, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ প্রভৃতি রোগের অব্যর্থ ওষুধ। অনেকেই শরীর সুস্থ রাখতে নিয়ম করে ত্রিফলা খেয়ে থাকেন। ত্রিফলা পাউডার, ক্যাপসুল, বা জুস হিসাবেও খাওয়া যায়। কিন্তু অনেক বিশেষজ্ঞর মতে, ত্রিফলার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার দিকটিও খেয়াল রাখা উচিত।
কাদের ত্রিফলা খাওয়া উচিত নয়? বা খেলেও, কাদের সাবধান হওয়া উচিত? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্রিফলার গুণাগুণ অনেক। ত্রিফলা যেমন ডায়াবিটিস ও ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে, তেমনই বিভিন্ন প্রদাহ দূর করতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণেও খুব কার্যকর। কিন্তু সব ধরনের মানুষের ত্রিফলা খাওয়ার আগে ত্রিফলার পার্শ্বপ্রতিক্রয়া সম্বন্ধে সচেতন হওয়া দরকার।
কোন কোন লক্ষণ দেখলে ত্রিফলা খাবেন না? কারা ত্রিফলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন? জেনে নিন এখান থেকে:
ত্রিফলার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- ত্রিফলায় থাকে প্রাকৃতিক ল্যাকসেটিভ। যা অনেকের ক্ষেত্রেই পেটে যন্ত্রণা বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। যাঁদের ইতিমধ্যেই পেটের সমস্যা আছে, তাঁরা ত্রিফলা খাওয়ার আগে সাবধান হন।
- অনেক চিকিৎসকের মতে, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা বা যে সব মহিলারা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান তাঁদের কখনও ত্রিফলা খাওয়া উচিত নয়। কারণ এই মহিলাদের উপর ত্রিফলার প্রভাব সম্পর্কে কোনও নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক গবেষণা নেই।
- যাঁরা মৃগীরোগের ওষুধ খাচ্ছেন, তাঁদের ত্রিফলা না খাওয়াই ভালো।
এছাড়াও ত্রিফলা থেকে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই আযুর্বেদিক উপাদানটি খান।