এনসিইআরটি সমীক্ষা অনুসারে, তামিলনাড়ুতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী রয়েছে, যাদের একেবারে প্রাথমিক স্তরের সংখ্যা-বোধ নেই। এর পরেই রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর, অসম এবং গুজরাট রাজ্যের পড়ুয়াদের অবস্থান। এই সব রাজ্যের প্রচুর পড়ুয়াই সাধারণত সংখ্যা চেনা, যোগ এবং বিয়োগের মতো সবচেয়ে প্রাথমিক হিসাবও করতে পারে না।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং বিহারের মতো রাজ্যগুলিতে সর্বাধিক সংখ্যক পড়ুয়া রয়েছে, যাদের হয় যথেষ্ট জ্ঞান এবং দক্ষতা রয়েছে, অথবা উচ্চতর জ্ঞান এবং দক্ষতার বিকাশ হয়ে গিয়েছে। এবং তারা জটিল হিসাবও করতে সমর্থ।
সামগ্রিকভাবে, কমপক্ষে ১১ শতাংশ শিক্ষার্থীর সবচেয়ে মৌলিক সংখ্যাগত দক্ষতার অভাব রয়েছে। ৩৭ শতাংশ পড়ুয়াকে এমন বিভাগে রাখা হয়েছে, যাকে বলা যায় ‘সীমিত জ্ঞান এবং দক্ষতা’ পূর্ণ। দ্বিতীয় শ্রেণিভুক্তরা আংশিকভাবে প্রাথমিক গ্রেড-স্তরের হিসাবের কাজগুলি সম্পূর্ণ করতে পারে।
জাতীয় স্তরে পড়ুয়াদের অবস্থা নিয়েই ‘oral reading fluency with reading comprehension and numeracy 2022’ নামক রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। এনসিইআরটি-র রিপোর্টের লক্ষ্য হল গ্রেড ৩-এর পড়ুয়াদের সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য এবং বৈধ তথ্য প্রদান করা।
১০ হাজারটি রাজ্য সরকারি স্কুল, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল, বেসরকারি স্বীকৃত এবং কেন্দ্রীয় সরকারি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির প্রায় ৮৬ হাজার পড়ুয়াকে নিয়ে সমীক্ষা চলানো হয়েছিল। এটি ২০টি ভাষায় পরিচালিত হয়েছে। অসমিয়া, বাংলা, বোড়ো, ইংরেজি, গারো, গুজরাটি, হিন্দি, কন্নড়, খাসি, কোঙ্কনি, মালয়ালম, মণিপুরি, মারাঠি, মিজো, নেপালি, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, তামিল, তেলেগু এবং উর্দু— এই ভাষাগুলিকে সমীক্ষার মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
সংখ্যা শনাক্তকরণ, সংখ্যার পার্থক্য, যোগ, বিয়োগ, ভাগ, এবং গুণ, ভগ্নাংশ, এবং সংখ্যা বিচারের ক্ষেত্রে দক্ষতার উপর দাঁড়িয়ে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে।