বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Test Tube Baby in Bangladesh: এগিয়ে বাংলা! প্রথম কোনও সরকারি হাসপাতালে টেস্ট টিউব শিশুর জন্ম বাংলাদেশে

Test Tube Baby in Bangladesh: এগিয়ে বাংলা! প্রথম কোনও সরকারি হাসপাতালে টেস্ট টিউব শিশুর জন্ম বাংলাদেশে

প্রতীকী ছবি

Test Tube Baby in Bangladesh: সরকারি হাসপাতালে প্রথম বার জন্মালো টেস্ট টিউব শিশু। বাংলাদেশের চিকিৎসকদের দুর্দান্ত সাফল্য। 

বাংলাদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বড় মাইলফলক। এই প্রথম বার দেশের কোনও সরকারি হাসপাতালে টেস্টটিউব বেবির জন্ম হল। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দুই সপ্তাহ আগে সফলভাবে এক টেস্টটিউব বেবি ভূমিষ্ঠ হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞরা এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন এর মাধ্যমে। শিশুটি বর্তমানে সুস্থ আছে। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নাজমুল হক এই কথা জানিয়েছেন সে দেশের সংবাদমাধ্যমকে।

বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছে, প্রায় দু’বছর ধরে টেস্টটিউব বেবির জন্ম নিয়ে কাজ করা হচ্ছিল। বেশ কিছু দম্পতি এই পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে এক দম্পতির টেস্টটিউব বেবি ভূমিষ্ঠ হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ আছে।

১৯৭৮ সালের ২৫ জানুয়ারি ইংল্যান্ডে প্রথম টেস্টটিউব শিশুর জন্ম হয়। ২০০১ সালে বাংলাদেশে প্রথম টেস্টটিউব বেবির জন্ম।‌ যদিও সেটি বেসরকারি হাসপাতালে। অনেকেরই ধারণা, এই ধরনের উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থার সুযোগ হয়তো পেতে পারেন শুধুমাত্র ধনীরাই। কারণ বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার ক্ষমতা আম জনতার মধ্যে তুলনায় কম। এমন ধারণা যাঁদের, তাঁদেরই আশার আলো দেখালো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের এই অভিনব ঘটনাটি। বেসরকারি হাসপাতালে ধারাবাহিকভাবে টেস্ট টিউব বেবির জন্ম হলেও সরকারি হাসপাতালে এটিই প্রথম।

(আরও পড়ুন: মাত্র তিন বছরেই মারা গেল সবচেয়ে লম্বা কুকুর জিউস! মৃত্যুর কারণ কী)

তবে আপাতত ঘটনাটি আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হচ্ছে না। হাসপাতালের তরফে জানান হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের মাধ্যমে এই খবরটি আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা হবে। তিনি সময় দিলে সে দিন এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।

ছাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, সন্তানধারণে অক্ষম নারীর মা হওয়ার আধুনিকতম পন্থা হচ্ছে ‘টেস্টটিউব বেবি’ পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া। এ পন্থায় স্ত্রীর ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু সংগ্রহ করা হয় আর স্বামীর শরীর থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করা হয়। গবেষণাগারে সেই ডিম্বাণু ও শুক্রাণু নিষিক্ত করে।

এর পরে কৃত্রিমভাবে ভ্রুণ সৃষ্টি করা হয়। পরে সেই ভ্রুণ স্ত্রীর গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। স্বাভাবিক ভ্রুণ যেভাবে গর্ভাশয়ে বেড়ে ওঠে, কৃত্রিম ভ্রুণও একইভাবে বেড়ে উঠতে থাকে। এভাবে ৯ মাস পর যে শিশুর জন্ম হয়, তাকে টেস্টটিউব বেবি বলা হয়। সরকারি হাসপাতালে এই কর্মকাণ্ড ঘটে যাওয়ায় দেশের মানুষও সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে গর্বিত।

বন্ধ করুন